সিলেটের কানাইঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এলডি এমপি-৩ প্রকল্প-সহ মোট ৩৯ টি প্রকল্প ও স্কীমের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইপ-১ অধিশাখার উপসচিব মো: আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়। গত ৩১ মার্চ ২০২১ তারিখে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বরখাস্তের পর ইউপি চেয়ারম্যারের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে ইউপি মেম্বার আব্দুল গফুরকে। তিনি এখন কানাইঘাট ৬নং সদর ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন।
জারি করা প্রজ্ঞাাপনে উল্লেখ করা হয়, এলডি এমপি-৩ প্রকল্প হতে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে অব্যয়িত ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪১৫টাকা আত্মসাত,২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১৬টি, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১৫টি এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৯টি সহ মোট ৪০ টি স্কীমের মধ্যে ৩৪ টি স্কীম বাস্তবায়ন না করা, শর্ত অনুযায়ী স্কীমের স্থানে স্কীমের তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন না করা, ১১ টি স্কীমের ৪টি পরিমাপে দাপ্তরিক প্রাক্কলনের চেয়ে বাস্তব কাজ কম করে সরকারী অর্থ আত্মসাত এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক, চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(১) অনুযায়ী কানাইঘাট উপজেলার ৬ নং কানাইঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: মামুনুর রশিদকে চেয়ারম্যান পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামন্ত ব্যানার্জি ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞান অনুযায়ী কার্যংক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং একজন ইউপি মেম্বারকে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
Discussion about this post