৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃনড়াইলের লোহাগড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানের নামে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। শনিবার রাতে লোহাগড়া থানা থেকে তাদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।তারা হলেন- লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইসমাইল হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুজন ফকির। থানা সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের আবু সাইদ বাবুলের ছেলে আবু নাইম আকাশকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। বিক্রি করতে এগুলো নাইম নামে আরেক জনের কাছে রেখেছিলো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া বাজারের পশ্চিমপাশে জয়পুর মোড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।আবু নাইমের মা রোকসোনা পারভীন জানান, নাইমের সাথে তার এক বন্ধু গল্প করছিলো। এ সময় দুজনকে ওই দুই পুলিশ অফিসার ধরে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে থানা থেকে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু নাইমকে ছেড়ে দিবে বলে চার হাজার টাকা নিয়েও ছাড়েনি। টাকা দাবি করেছিল আরো বেশি। পরে ফোনে এএসআই সুজন ফকিরের সাথে কথা হয়। সুজন ফকির আমাকে বলেছেন, ”চার হাজার টাকা দেয়ায় ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো।”এসব বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানানো হলে ওই দুই পুলিশ অফিসার টাকা ফেরত দিতে রোকসানার বাড়িতে যায়। কিন্তু তাকে না পেয়ে ফিরে গেছে।রেকসোনা পারভীন বলেন, নাইম মাদকের সাথে জড়িত না। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছে। আমরা গরীব মানুষ। আমার একমাত্র সন্তান নাইমের জীবন পুলিশ শেষ করে দিলো।নাইমের প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন জানান, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত তা কখনো শোনা যায়নি। ওইদিন একইসঙ্গে নাইমসহ দুজনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই সুজন ফকির ও এএসআই মো. ইসমাইল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের নাম ভাঙিয়ে তৃতীয় পক্ষ এই চার হাজার টাকা নিয়েছে; আমরা নেইনি। আর তখন দুজন না, একজনকেই ধরেছিলাম।তবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ওই দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।,