রাজশাহী প্রতিনিধিঃআউটসোর্সিং অফিস পিয়নকে মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে কাজ করার অভিযোগসহ প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া আপ্যায়ন বিল ভাউচার তৈরি করে বিল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ।
এছাড়াও ব্যক্তিগত ড্রাইভার দিয়ে সরকারী গাড়ী চালানো, অযাচিত তেলের বিল উত্তোলন করা, যোক্তিক কোন রির্পোট রক্ষনাবেক্ষন না করে গাড়ি চালানো বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকার পেট্রোল বিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পাহাড় নিয়ে চলমান এই দপ্তরটির প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান ভুইয়া। তিনিসহ অফিসের উচ্চমান সহকারী খায়রুজ্জামান এখন অফিসের নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ডার ।
সূত্র জানায় আউটসোর্সিং অফিস পিয়ন রাহাবুল ইসলামের গত মাসের ৫ তারিখে মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু অদ্যবদি সে অফিসে কর্মরত আছে কিভাবে তা বোধগম্য নয় সুশীল সমাজের !
এদিকে আভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের নামে বিসিক মোড়ের মুছকান হোটেলের ভুয়া বিল ভাউচারে ষোল হাজার টাকার অধিক বিল করে আত্মসাৎ করেছেন উপ-মহাপরিদর্শক ও উচ্চমান সহকারী। বিভিন্ন সময় শিশু শ্রমের মিটিং করার নামে হাজার হাজার টাকা আপ্যায়ন বিল করে আত্মস্বাত করছেন তারা ।
অপর এক অভিযোগে জানা যায়, রাজশাহীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সিংগার কোম্পানির লাইন্সেস বাবদ উপ-মহাপরিদর্শক ও উচ্চমান সহকারী টাকা গ্রহণ করছেন। যাহা সরকারী নিয়ম বহির্ভূত। নিয়ম অমান্য করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে মাসিক চুক্তি ও লাইন্সেস ফি বাদেও অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের । ব্যক্তিগত ড্রাইভার দিয়ে চালানো হচ্ছে সরকারী গাড়ি যার বেতন আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আসা মাসিক মাসোহারা থেকে ।
এছাড়াও এখন রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি এলাকায় খোলা রাখা হয়েছে দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমুহ। আর প্রতিনিয়তই বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। কিন্তু নেই তেমন কোন সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ ।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এই দপ্তরটি নানা অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত দেওয়া হয়।
এ বিষয় কথা বলতে রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়াকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর প্রতিষ্ঠানের নামে কেউ টাকা নিলে এবং তার লিখিত অভিযোগ পেলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়াও ব্যক্তিগত ড্রাইভার ও অফিস পিয়নের বেতন কিভাবে আসে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আপাতত এখানে কোন বেতন পায় না ।
সুত্রঃ দৈনিক আমার সময়