৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃগাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় মজির্না বেগম ওরফে মজিরন নেছা নামের বৃদ্ধার গলাকাটা লাশের ঘটনায় রোববার কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা মহিলার ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামী করে ওই মামলা দায়ের করেন। নিহতের ছেলে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করলেও এজাহারে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের কথা উল্লেখ্য করেছেন। নিহত মজির্না বেগম ওরফে মজিরন নেছা হাবিবপুর এলাকার মৃত হযরত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার হাবিবপুর এলাকার হযরত আলীর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মজির্না বেগম ওরফে মজিরন নেছাকে ১৯৭৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করে। হযরত আলীর প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে সামিউল হক (৬৫), আব্দুস সামাদ আজাদ (৬৩) ও তিন মেয়ে হোসনেয়ারা ওরফে হাসিমন (৬০), রাজিয়া খাতুন (৫৮), মৃত রোকেয়া আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (৩২) তিন মেয়ে জাহানারা বেগম (৩৮), আইরিন আক্তার (৩০) ও রুনা আক্তার (২৫) রয়েছে। হযরত আলীর দুই সংসারে তিন ছেলে ছয় মেয়ে রেখে ২০০৬ সালে মৃত্যু বরন করেন। হযরত আলী মারা যাওয়ার সময় অনেক জমিজমা রেখে গেছেন। হযরত আলী মারা যাবার পর সৎ ভাইদের সাথে পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। হযরত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে আইন বিভাগের প্রভাষক ও ঢাকা জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে অইনজীবি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে ১-১২-১৮ইং রাত আনুমানিক ১০টা ২৫ মিনিট থেকে ২-১২-১৮ইং সকাল ৯ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত খুনি বা খুনিরা পারিবারিক বিরোধ কিনবা অন্য কোন কারনে আমার একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদ দিয়ে নিচে এসে ওই মহিলার ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌচাক ফাড়ির ইনচার্জ ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।