মোঃরউফুল আলমঃবিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী কিশোরী মনি আক্তারের। যাবতীয় আয়োজনসহ বিয়ের আসরও বসেছিল। চলছিল সাজসজ্জা ও মেহমানদারীর প্রস্তুতি। ১০৯ নম্বরে অভিযোগ করে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেলো কিশোরীটি।
ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মধ্যরাজিব চেংমারী গ্রামের। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশসহ হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর মুচলেকার মাধ্যমে মেয়ের পরিবারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যরাজিব চেংমারী গ্রামের আব্দুল আজিজের কিশোরী মেয়ে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মনি আক্তারের (১৫) সঙ্গে একই ইউনিয়নের কেশবাডাঙ্গা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান রবিউল ইসলামের ছেলে এনামুল হকের (২২) বিয়ে ঠিক করা হয়। বিয়েতে রাজি হয়নি কিশোরী মনি। বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে ১০৯ নম্বরে কল করে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ১০৯ নম্বরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ নিয়ে অভিযোগকারীর ঠিকানায় হাজির হই। সেখানে বিয়ের আয়োজনও দেখতে পাই। মেয়ে যেহেতু নাবালিকা এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই বিয়ে তাই এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে এই বিয়ের আয়োজন বন্ধ করি। শেষে মেয়েটির পরিবার থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
১০৯ নম্বরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাল্যবিবাহ রুখে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী।
Discussion about this post