কুমিল্লার দেবীদ্বারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গোমতী নদীর বেরীবাঁধ
সংলগ্নে স্থাপনকৃত নদী থেকে বালি উত্তোলনকারী দু’টি ড্রেজার মেশিন সহ প্রায় ৫শত ফুট পাইপ জব্দ করেছেন।
পরে ড্রেজার মেশিনের মালিকের সন্ধান না পাওয়ায় ওই ড্রেজার মেশিন দু’টি পুড়িয়ে এবং প্রায় ৫শত ফুট পাইপ কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাকিব হাসান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবীদ্বার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ,এস,আই) আজিজুল হক ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার জাফরগঞ্জ থেকে ভিংলাবাড়ি গোমতী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার গোমতী নদীর পাড়কে ঘিরে অবৈধভাবে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ড্রেজার মেশিন চালু রয়েছে। শুধুমাত্র খলিলপুর, লক্ষীপুর, বালিবাড়ি এলাকায় ২৫টিরও অধিক ড্রেজার মেশিন গোমতী নদীর বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এসব কার্যক্রমের একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় অবৈধভাবে নদীর বালি উত্তোলন, মাটি কাটা, ট্রাক্টরে বহন সহ নানাভাবে গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ ধংস, রাস্তা খানাখন্দ করলেও স্থানীয়রা কিছু বলতে সাহস পান না। আজ প্রশাসনের উদ্যোগে বালিবাড়ি গ্রামের জয়নাল মাষ্টারের ছেলে মাহববুর রহমান এর দু’টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করেছে। তাতে এলাকাবাসী অনেক খুশী।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, বালুমহাল ইজারা প্রদান ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান অনুযায়ী ভূগর্বস্থ মাটি উত্তোলন, মাটির শ্রেণী পরিবর্তন বা নদী ভূগর্ভস্তের মাটি বা বালি উত্তোলন কিংবা নদীর গতিপথ পরিবর্তনে কোন কাজ করা যাবেনা,পৌর এলাকার বালিবাড়ি ড্রেজার মেশিন জব্ধ ও ধ্বংসের অভিযান ধারাবাহিক অভিযানের একটি অংশ। সম্প্রতি প্রায় ৫০টিরও অধিক ড্রেজার মেশিন বন্ধ ও বিকল করেছি। কোথাও কোথাও একটি মেসিন ৩ বারও বন্ধ করেছি।
তারপরও লোভী মাটি ও বালু খেকুরা ওই একইস্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন চালু করতে বিবেক সাড়া দেয়না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
Discussion about this post