জনতার কলাম, তাজরিন সুলতানা শারমিনঃ প্রায় একশত বছর আগের কথা।কনো এক বিখ্যাত ব্যক্তি একটি গাছ রোপণ করেন,ফেণীর ট্রাংক রোড়ের পাশে।গাছটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।এই দিকে সেই বিখ্যাত ব্যক্তির বয়স ও বাড়তে থাকে।আর এই দিকে গাছটা যতো বড় হচ্ছে ততো গাছটার উপরে অত্যাচার বেড়ে যাচ্ছে।ফেণী জেলার সকল লিপলেট গুলো এই গাছের সাথে টাঙানো শুরু করে।গাছটির সারা দেহে কতো পিন আর কতো লিপলেট যার কোনো শেষ নাই।সেই এই কষ্ট সহ্য করতে করতে আজ তার ১০০বছর পেরিয়ে আসছে।আর এইদিকে গাছটার মালিক পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে।কিন্তু তার স্মৃতিটুকু রেখে গেলো।সেই স্মৃতিটা ও আজ বুড়ো হয়ে গেলো।শরীর টা ও অনেক মোটা হয়ে গেলো।তার এই মোটা শরীরে কতো ক্ষত আছে তা কেউ জানেনা এবং জানার ও চেষ্টা করেনা।এক মাত্র সেই গাছ নিজেই জানে আর মহান আল্লাহ্ জানে।আজ গাছটা প্রায় মৃত্যুর পথে।তবু ও চলে আঘাতের পর আঘাত।নাই কোনো ডাক্তার, নাই কোনো বিশেষজ্ঞ। শুধু আছে কষ্ট দেওয়ার মতো মানুষ। বুঝেনা তারা এই গাছটা দুঃখ। কিছুদিন পর হঠাৎ এক অবাক কান্ড। কোথায় থেকে কিছু অতিথি পাখি এসে এই গাছের উপরে বসে।এবং গাছের কষ্ট গুলো সব শুনে।আর কিছু কষ্ট তারা নিজেরাই ভোগ করে নেয়।এরপর থেকে সেই অতিথি পাখি গুলো দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হয়ে সব সময় তার পাশে থাকে।যা মানুষ বুঝতে পারেনি তা এই ছোট অতিথি পাখিরা বুঝতে পারছে।তোবে তাদের যে কিছু করার শক্তি নাই।তারা তো অতি ক্ষুদ্র,তারা কি আর মানুষের সাথে লড়াই করতে পারে? তোবে তারা ছোট হলেও তারা অনেকটাই বুদ্ধিমতি। তারা গাছটার জন্য কিছু করতে পারুক বা নাপারুক তোবে তারা গাছটার কষ্ট ভুলিয়ে রাখার জন্য, প্রতিদিন বিকালে বা সন্ধ্যায় গাছটাকে গান শুনায়,নাছ করে দেখায়।এই ভাবে দেখাতে দেখাতে সারা রাত কেটে যায়।ভোর হলে তারা আবার ফিরে যায়।আবার বিকাল হলে ফিরে আসে সন্ধ্যার অতিথি হয়ে।গাছটির সারা দেহে কতো পিন আর কতো লিপলেট যার কোনো শেষ নাই