মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল:কক্সবাজারের চকরিয়ায় আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ লাগবে সরকারি টাকা বরাদ্দে ছড়াখাল খনন করা হলেও উত্তোলনকৃত মাটি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই লক্ষ্যারচর এলাকার কিছু ব্যাক্তির খামার ভরাটে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নলবিলা বিটকাম চেকপোস্টের পূর্ব পাশে কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বারআউলিয়া নগর এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এ অবস্থার কারনে চলতি বর্ষাকালে ছড়াখালের পানি আবাদি জমি উপড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে কাকারা ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের পান্তিক কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ছড়াখালটি খননের পর উত্তোলনকৃত মাটি সমুহ খালের দুই তীরে মজুদ রাখা হয়। যাতে ছড়াখাল হয়ে বর্ষাকালে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি অনায়সে নীচে নেমে যেতে পারে। খাল খননের কারনে আশপাশ এলাকার কৃষকরা যথারীতি সুফলও ভোগ করতে শুরু করেছে।
তবে স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছারের নাম ব্যবহার করে সরকারি টাকা বরাদ্দে খনন করা ছড়াখালের (চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের উত্তর অংশের) উত্তোলনকৃত মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে তাহাদের খামার ভরাটের জন্য নিয়ে গেছে। এ অবস্থার কারনে বর্ষাকালে ছড়াখালের পানি আশপাশের লোকালয় ও আবাদি জমি উপড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পান্তিক কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক ও পরিবেশ সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম বলেন, সরকারি টাকা বরাদ্দে এলাকার কৃষক ও জনগনের দুর্ভোগ লাগবে ছড়াখালটি খনন করা হয়েছে। উত্তোলনকৃত মাটি খালের দুই তীরে মজুদ রাখা হলেও লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর খামার ভরাটের জন্য প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ছড়াখালের তীর থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে।তিনি অভিযোগ করেছেন, এভাবে ছড়াখালের তীর থেকে মজুদ মাটি নিয়ে যাওয়ার কারনে চলতি বর্ষাকালে ছড়াখালের পানি আবাদি জমি উপড়ে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পান্তিক কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের পাশাপাশি ও চাষাবাদ নিয়ে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। বিষয়টির আলোকে প্রশাসনের তদন্ত হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার একই এলাকার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বারআউলিয়া নগর সরকারি বনাঞ্চলের পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে বলে জানাগেছে ।যাহা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিশ প্রদানসহ সংস্লিষ্ট দপ্তরে তলবী করা হয়েছে।এছাড়াও সরকারীকাজে নিজের আখেরগোছা গোছাতে সিডিউল বহিঃর্ভূত কাজে যার কোন জুড়ি নেই।লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের এ পর্যন্ত সরকারী যত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছেন প্রত্যেক প্রকল্পের সুষ্ঠ তদন্ত হলে বরিয়ে আসবে নানা অনিয়ম সহ থলের বিড়াল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্যারচর ও কাকারা ইউনিয়নের আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ লাগবে ২০১৭-১৮অর্থবছরে সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বিশেষ বরাদ্দের আওতায় কাকারা ইউনিয়নের বাইশ্যারছড়া নামক ছড়াখালটি খননের উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে বিপুল টাকা বরাদ্দে ছড়াখালটি খনন করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকারি টাকা বরাদ্দে খনন করা ছড়াখালের মাটি ইউপি চেয়ারম্যানের খামার ভরাটের জন্য নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমাকে কেউ জানাইনি। তবে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।