বিশেষ প্রতিনিধিঃজনবলের অভাবে বাড়ানো যাচ্ছে না চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৫টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করানো হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনাজট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন পরীক্ষার ল্যাব এবং দক্ষ জনবল বাড়ানো না গেলে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহম্মদ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। পুরোদমে কাজ করতে গিয়ে ল্যাবের তিন টেকনোলজিস্ট আক্রান্ত হয়েছেন।
ফলে সংকট আরও চরম আকার ধারণ করেছে। টেকনোলজিস্ট আক্রান্ত হওয়ার পর বর্তমান লোকবল দিয়ে আমাদের দ্বিগুণ কাজ করতে হচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে ল্যাব আরও বাড়ানো না গেলে পরীক্ষা বাড়ানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া আমাদের সক্ষমতা আড়াইশ’ কিন্তু আমাদের ল্যাবে প্রতিদিন নমুনা আসছে প্রায় ছয়শ’। ফলে নমুনাজট তৈরি হচ্ছে।চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের ল্যাবে প্রতিদিন দেড়শ’ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে।
আমরা তাই করছি। তবে ইচ্ছে থাকলেও লোকবল না থাকার কারণে সক্ষমতা বাড়ানো যাচ্ছে না । চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান বলেন, আমাদের ল্যাবে দুটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন দুশ’ থেকে আড়াইশ’ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা করছি। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের এখানে নমুনা আসছে প্রতিদিন চারশ। ফলে আমাদের সক্ষমতার বাইরে প্রায় দেড়শ’ থেকে দুইশ’ নমুনা টেস্ট করা সম্ভব হয় না।
তাই নমুনাজট তৈরি হচ্ছে।পরীক্ষার সক্ষমতার তুলনায় নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বেশি হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নমুনাজট। এরই মধ্যে চার হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনও নমুনার ফলাফল আসেনি।
সুত্র: বাংলানিউজ