রাউজানে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি গ্রামস্থ তাদের বসতঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি গ্রামের প্রয়াত মাওলানা মো. হারুনের ছেলে ওকার উদ্দিন (৩৮) ও তার স্ত্রী সেলিনা আকতার শিরিন (৩০)।
পুলিশ জানায়, ডিভোর্সী পুরুষদের টার্গেট করে রূপসী পাত্রী দেখাতেন তারা। পরে রূপসী পাত্রীর পরিবর্তে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো।
সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রবাস ফেরত ডিভোর্সী যুবক মো. আজিজকে একাধিক পাত্রী দেখানোর পর একটা পাত্রী তার পছন্দ হয়। পছন্দের পাত্রীর নম্বর চাইলে ওই যুবককে তার স্ত্রী শিরিনের নম্বর দেওয়া হয়। তার স্ত্রী আজিজের পছন্দের পাত্রী সেজে কথা বলে কয়েক ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩০টাকা হাতিয়ে নেয়। মুঠোফোনে কথা বললেও বিভিন্ন অজুহাতে সরাসরি দেখা করতো না।
প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা (মামলা নং-১১, ১১-০৬-২০২১ইং) দায়ের ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. আজিজ। মামলার প্রেক্ষিতে রাউজান থানার ওসির নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযানের চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট, ৪টি রবি কোম্পানির সীমকার্ড জব্দ করা হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিজ্ঞ আদালতে করা এক প্রবাসীর প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে থানার উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেনকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারের পর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা তদন্ত সাপেক্ষ সার্জশীট দাখিল করা হবে।
সূত্র জানায় আসামীরা আরো কয়েকটি প্রতারণা ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
Discussion about this post