পোর্ট কানেকটিং রোড় ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার সুবিধার্থে ঈদের পরেই ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) চসিক মেয়র দপ্তরে সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সময় সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদুল হাসান ও চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোডে ব্যবসায়ীরা ক্যারেটগুলো দোকানে না রেখে রাস্তায় ফেলে রাখে। এতে করে রাস্তার অনেক জায়গা তাদের দখলে চলে যায়। আবার এ ক্যারেট লোডিং-আনলোডিং করার সময় ট্রাকগুলো রাস্তায় পার্কিং অবস্থায় থাকে। তাই এ সড়কে যানজট সৃষ্টির এটা একটি অন্যতম কারণ। এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র ব্যবসায়ীদের ক্যারেট রেখে রাস্তা দখল করার মানসিকতা পরিহার এবং অবৈধ পার্কিং সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
প্রসঙ্গক্রমে সিটি মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাইকা’র অর্থায়নে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পোর্ট কানেকটিং রোড এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডকে ছয় লেনে উন্নীতকরণে কাজ শুরু করেছে। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগামী ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত চলবে। তাই দ্রুত সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার সুবিধার্থে আপাতত সড়কের একপাশ বন্ধ রাখা হবে। এ লক্ষে তিনি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি সড়কে বন্দরের পণ্যবাহী অতিরিক্ত যান পরিবহনের বিষয়টির কথা উল্লেখ করে বলেন, দৈনিক ৭/৮ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান বা প্রাইম মুভার গাড়ি বন্দর থেকে বের হয়। কিন্তু এ পরিমাণ গাড়ি চলার মত আয়তন বা পরিস্থিতি এ সড়কের নেই। কাজেই যানজট লেগেই রয়েছে। ছয় লেনে উন্নিতকরণ কাজ সম্পন্ন হলে এ সড়কে সৃষ্ট যানজট সমস্যা নিরসন হবে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সময়ে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে সর্বস্তরের নগরবাসী বিশেষ করে উক্ত এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সমাজের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
Discussion about this post