মোঃফয়সাল এলাহীঃ পাল্টে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর এয়ারপোর্ট রোডের চেহারা। দৃষ্টিনন্দন এই সড়ক দেশী-বিদেশী যেকোন পর্যটক কিংবা ব্যবসায়ীর নজর কাড়বে। চট্টগ্রাম সম্পর্কে ধারণা পাল্টে যাবে সবার। গতকাল এয়ারপোর্ট রোডের ড্রাইডক এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মুর্যাল উদ্বোধন করা হয়। সন্ধ্যায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমার ভিশন ক্লিন ও গ্রিন সিটি। এই নির্বাচনী অঙ্গীকার ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নান্দনিক রুপসী সাজে সাজানো হচ্ছে নগরীকে। উদ্বোধন করা সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নৌকার ওপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নগর পিতা আ জ ম নাছির উদ্দীনের তিনটি ম্যুরাল। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসা দেশ-বিদেশের অতিথিদের স্বাগত জানাবে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাটি। শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য ৩০ বর্গফুটের প্রতিটি ম্যুরাল তৈরি করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জয়নাল আবদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তিমির বরণ চৌধুরী, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, মাহফুজুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত তৈয়ব, অসীম বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাশেমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই সৌন্দর্যবর্ধনে কর্ণফুলীর পাড় ঘেঁষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের চেহারাই বদলে গেছে। তিন সেতুকে ঘিরে ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে চসিক। সেতুর ওপর এলইডি লাইটিং মুগ্ধ করছে দেশ-বিদেশের অতিথিদের। এখানে রয়েছে সড়ক বিভাজকে থোকা থোকা সবুজ ও রকমারি ফুল। ফুটপাতের পাশেও রয়েছে বাহারি ফুলের মেলা। রুবি সিমেন্টের পাশের সেতুটিতে এলইডি লাইটিংয়ের কাজ হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, গুরুত্বের দিক থেকে চট্টগ্রাম অর্থনৈতিকভাবে সুবিবেচনার দাবি রাখে। দেশের আমদানি-রপ্তানিসহ আর্থিক খাতে চট্টগ্রাম মূল যোগানদাতা। চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ব মানের সামুদ্রিক বন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বন্দরকে বিশেষ করে চট্টগ্রামের প্রতি সুনজর দেয়ায় উন্নয়নের চাকা দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আশা করেন ইকোনোমিক জোন, ট্যানেল,রিং রোড, বে টার্মিনাল নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি সিটি কর্পোরেশনের সকল সেবাধর্মী কার্যক্রমে সরকার ও নগরবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। পরে তিনি ১৫ নং ঘাটের ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।