জনতার কলামঃ দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কমান্ডার এম এম লালমিয়া,দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ সব সময় অসহায় ৪৬ হাজার গ্রামপুলিশ সদস্যদের পার্শে ছিলেন এবং আছেন্,, একজন মনিব কখনোই চায়না তার বাড়ীর চাকর অর্থনৈতিক ভাবে স্বাভলম্ভি হোক তার ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক কারন মালিক জানে তার কর্মচারীর যদি টাকার অভাব না থাকে তাহলে তাকে দিয়ে সকল কাজ করানো যাবেনা যদি তার ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে সে আর আমার নিকট চাকুরী নাও করতে পারে। বাংলাদেশ গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মানসম্মত বেতন বা জাতীয় বেতনস্কেল পাক তা বেশীরভাগ চেয়ারম্যান ম্যামবারগনই চায়না। ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকা এর সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয় বলেন গ্রামপুলিশ বাহিনীর বেতন বাড়াতে চেয়ারম্যান ম্যামবারদের নিকট থেকে বা কোন মাধ্যম থেকে প্রস্তাবতো থাকতে হবে। গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা চেয়ারম্যান ম্যামবারের অধিনস্থ কর্মচারী প্রতিটি চেয়ারম্যান ম্যামবারই জানে একজন গ্রামপুলিশ সদস্যের বেতন কতো টাকা আর এ টাকা দিয়ে কতটা কষ্ট করে একজন গ্রামপুলিশ সদস্য তার পরিবার নিয়ে নাখেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনপার করছে তা তাদের চেয়ে বেশী আর কেও জানেনা। কিন্তু কই তাহারাতো একবারও ভাবেনা গ্রামপুলিশ সদস্যদের মানসম্মত বেতন বা জাতীয় বেতন স্কেলের কথা। বরং তাদের ভাবনা গ্রামপুলিশ সদস্যরা যদি মানসম্মত বেতন বা জাতীয় বেতনস্কেল পায় তাহলে আর আমাদের কথা ঠিকমত শুনবেনা বাড়ির বাজার করাতে পারবোনা তুইতোকারী ব্যাবহার করতে পারবোনা বরং আমাদের কাজের হিসাবও নিতে পারে। চেয়ারম্যান ম্যামবারেরা যদি মনে করতো একজন গ্রামপুলিশ সদস্যের ক্ষমতা বৃদ্বি মানে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রশাসনিক ইউনিট শক্তিশালী হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত শক্তিশালী হওয়া। একজন চেয়ারম্যান প্রতিমাসে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংয়ে উপস্থিত থাকে জেলা পরিষদের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকে, তারা যদি গ্রামপুলিশদের ভালো চাইতো তাহলে এ সকল মিটিংয়ে গ্রামপুলিশ সদস্যদের মানসম্মত বেতন বা জাতীয় বেতন স্কেলের প্রস্তাব রাখতো। এ পর্যন্ত কোন চেয়ারম্যান ম্যামবার তা করেনি আর করবেইবা কেন তারা জানে গ্রানপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মানসম্মত বেতন পেলে আর আমাদের পায়ের কাছে রিলিফের চাউলের জন্য ঘুরঘুর করবে না টাকা সাহায্যের জন্য ঘুরঘুর করবে না আর আমাদের বাড়ির বাজার সহ ব্যাক্তিগত কাজও করাতে পারবোনা। তাই আমি কমান্ডার এম এম লালমিয়া বাংলার ৪৬ হাজার গ্রামপুলিশ সদস্যদের বলতে চাই এখনো সময় আছে সোচ্চার হোন সবাই মিলে একহোন একটি শক্তিশালী দূর্গ গড়ে তুলুন আপনার অধিকার আদায়ের হাতকে শক্তিশালী করুন। মনে রাখবেন একতাই শক্তি একতাই বল।
কমান্ডার এম এম লালমিয়া
সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি,ধামরাই,ঢাকা।
মোবাইলঃ০১৭৮৯৪১৫৩১৯/০১৯২১৩৭৬৫৭৭
Discussion about this post