টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। দিন দিন ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়লেও এর চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গত কয়েক দিনে ৫ জন এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও উদ্বেগ কম ছিল। কারন তারা সকলেই ঢাকায় অস্থান ছিল। কিন্তু গত দুই দিনে উপজেলার পারবাইজোড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার স্ত্রী বীনা বেগম (৩২), বেটুয়াজানী গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে জনমনে ভয়ের সঞ্চার হয়।
এদিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত বীনার স্বামী লাভলু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী কয়েকদিন যাবৎ তার বাবার বাড়ি গয়হাটা ইউনিয়নের বঙ্গবঙ্গুটিয়ায় ছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে জ্বর হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখানে পরিক্ষা নিরীক্ষার জানতে পারি আমার স্ত্রীর ডেঙ্গু হয়েছে। সেখানে রক্তের প্লাটিনা ২০ হাজারের নিচে নেমে গেলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রোকনুজ্জামান পারবাইজোড়া গ্রামের বীনা বেগমের ডেঙ্গু আক্রান্তের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার কোন ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তের কোন ব্যবস্থা নেই। এজন্য আমরা রোগীর ছিমটম দেখে আমাদের কাছে ডেঙ্গু মনে হলে রোগীকে ডেঙ্গু পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করি। বীনা বেগম হাসপাতালে আসলে তাকে রক্তের প্লাটিনা পরিক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠাই। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি আশা করছি খুব দ্রুতই ডেঙ্গু সনাক্তের কিট পেয়ে যাব।