নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের বিশেষ জরুরী সভা ৫ ই অক্টোবর ২০১৯ইং রোজ শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় শাপলাচত্বরস্থ টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সোলতান মাহমুদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্নার সঞ্চালনায় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুবের পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে জরুরী সভার কার্যক্রম শুরু হয়।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল জাহেদ লিটন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাসেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহ মিসবাউল হক বাবলা, উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহেল সিকদার, টেকনাফ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিক আলম শকু, শাহ্ পরীর দ্বীপ ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ উল্লাহ্,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফ, সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব ফরহাদ, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) দেলোয়ার সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন উত্তর শাখার সভাপতি মাসুক শাহরীয়ার মাসুদ, বাহারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম সিফাত এবং টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন। সভায় টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মিরা মতামত জানান। একপর্যায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাসেদ হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক দশ হাজার মরণনেশা ইয়াবা মামলার পলাতক আসামী (মামলা নং – ১৪, তারিখঃ- ০৫-১০-২০১৮ইং) এবং সে ছাত্রলীগের সভাপতি পদকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ সহ তার অপকর্মের দায়ভার কেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ বহন করবে বলে প্রস্তাব করলে, উপস্থিত সকল নেতা-কর্মিদের মতামতের ভিত্তিতে মোঃ রফিকের বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, উপস্থিত সকল নেতা-কর্মিদের সিদ্ধান্তক্রমে মোঃ রফিককে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
সেই সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শাহ্ পরীর দ্বীপ হাজ্বী বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন ও হোয়াইক্যং আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের অসম্পূর্ণ কমিটির সম্মেলন করার জন্য স্ব-স্ব ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী আকবর, মোহাম্মদ রফিক, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ ইয়াহিয়া, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জহির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাবের খান, দেলোয়ার হোসেন বিজয়, জাহাঙ্গীর আলম, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকের,পাঠাগার সম্পাদক জর্জ শর্মা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহমদুল হক, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হামিদুর রহিম হামিদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাহমদুল হক মুন্না, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফোরখান, উপ-প্রচার সম্পাদক সোহেল সিকদার, উপ-গ্রণ্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মিন্টু, উপ-পাঠাগার সম্পাদক আজিজুল হক কাজল, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দারুস সালাম নিশান, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দীন, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদ জুয়েল, উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপ-গন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক উসমান গনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোস্তাক আহমদ, মোহাম্মদ রেদওয়ানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন, স্কুল, মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কনিষ্ঠ পুত্র তারেক মুহাম্মদ রনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে লাইভে অভিযোগ তুলে বলেন, সদ্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনে নুরুল আলম এবং মোহাম্মদ আলী প্রতিদন্ডিতায় নৌকা প্রতিক পান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী এবং মটর সাইকেল প্রতিক পান নুরুল আলম।
বহিষ্কৃত হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রফিক নৌকা মার্কার সমর্থনে প্রচারণাসহ কিছুদিন আগে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার সমর্থনে প্রচারণা করায় বহিষ্কার করেছেন বলে দাবি করেন সাবেক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তারেক মাহমুদ রনি।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ফাহিম যখন র্যাবের হাতে ইয়াবা এবং অস্ত্র নিয়ে ধরা খেয়েছিল তখন কি আপনারা চোখে চশমা লাগিয়েছেন? তারপরও আপনাদের সেই চেতনা চিন্তাধারা জন্মায় না? বিশেষ জরুরী সভার নামে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের পাশের চেয়ারে বসিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করেছে। এতে সাবরাং ইউনিয়ন কমিটি, বাহারছড়া কমিটি, সাবেক হ্নীলা ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছ টাকা ইয়াবার টাকা হজম করার জন্য ইয়াবা ব্যবসায়ীর কমিটি দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে এই সাবেক ছাত্রনেতা।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ বলেন, তারেক মোঃ রনি একজন নিয়মিত মাদক সেবক। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভিত্তিহীন বানোয়াট ভাবে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি এবং জননেতা নুরুল আলম চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে নাম সম্বোধন করে যে মিথ্যাচার করেছেন তা আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেব। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ কারো কাছে মাথা নত করে না সংগঠনের সংবিধান নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মডেল উপজেলা কমিটি হিসেবে।
প্রসঙ্গত টেকনাফ উপজেলা ছাত্ররাজনীতির নেতৃবিন্দ বলেন, তারেক মোহাম্মদ রনির আপন দুই ভাই মোরশেদ মোহাম্মদ আলী এবং রাশেদ মোহাম্মদ আলী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি। নিজের ঘরে মাদক কারবারি রাঘব-বোয়ালরা বসবাস করে আসছে তার কোন খবর নেই। টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি যে সুনাম অর্জন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে চুলকানি তাদের বেড়েই চলছে। আমরা এই মাদকসেবনকারী তারেক মোহাম্মদ রনির ফেসবুক লাইভ বক্তব্যকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
