৭১বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃচট্টগ্রামে সাংবাদিকদের পেশাজীবী সংগঠন চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি সি.আর.ইউ‘র নেতৃবৃন্দ ও সকল সদস্যদের নিয়ে পারকির চরে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক আনন্দভ্রমন-২০১৮।
সাংবাদিকরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন সংবাদ সংগ্রহে। বিনোদনের সময় পাননা তারা । পারেননা পরিবারদের সময় দিতে। সে বিষয়টিকে সামনে রেখে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একটু বিনোদন দিবার প্রয়াসে সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারদের নিয়ে আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের নন্দিত সমূদ্র সৈকত পারকি বীচে আনন্দভ্রমন। বিনোদনের উদ্দেশ্যে যাওয়া এই মিলন মেলায় সারি সারি ঝাউগাছের ফাকে, সৈকতের বালূকারাশি আর সাগরের সাদা ফেনার টেউয়ের মাঝে পরিবারদের সাথে নিয়ে আনন্দে হারিয়ে যাওয়া। সংগঠনের সভাপতি কিরণ শর্মার শত আন্তরিকতা আর সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের ছন্দময় মুগ্ধকর সঞ্চালনায় সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যদের খালি গলার গানে গানে পৌছে গেল আনন্দ ভ্রমনের গাড়ি পারকী বীচে। সৈকতে আনন্দ মাত্রায় যোগ করা হয়েছিল সাংবাদিক সন্তানদের জন্য বিস্কুট খেলা, মহিলাদের জন্য চেয়ার খেলা, পুরুষদের জন্য ফুটবল খেলা, কুইজ প্রতিযোগীতা এবং র্যাফেল ড্রসহ আরো অনেক আয়োজন। তারপর বিনোদনকে আরো আকর্ষনীয় করতে গানের আয়োজনে গান সামগ্রী নিয়ে গেলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক শাহিন। নিজে গান গেয়ে সুরের মুর্চ্ছনায় গানে গানে মুখরিত করলেন সকলকে। সুযোগে মুক্ত মনে গলা ছেড়ে গাইলেন সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম সেলিম, অর্থ সম্পাদক নুরুল কবির, অবশেষে সংগঠনের সভাপতি কিরন শর্র্মাও ছাড় পেলেন না। সহধর্মিনী মনিকাশর্মাকে পাশে রেখেই গান গাইলেন তিনি। তারপর অনন্য আকর্ষন ছিল বীচের রোদ্রময় বালূকারাশিতে ফুটবল খেলা। ভাগ হলো সভাপতি কিরণ শর্মার দল আর সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের দল। ৩০ মিনিটের খেলায় উপহার দিলেন অসাধারন দুটি গোল। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের দল একটি গোল দিলেও পরবর্তী ৫ মিনিটির মাথায় সভাপতি কিরন শর্মার দল গোল করে সমতায় নিয়ে এলেন দলকে। পরিশেষে ড্র নিয়ে খুশি হলো উভয় দল। সেকি আনন্দ সকলের মাঝে। ফাকে ফাকে সেলফি। গানে গানে অন্যান্য প্রতিযোগীতা। অবশেষে সেই পুরস্কার বিতরণের মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। অতিথিদের দিয়ে পুরস্কার বিতরনের পালা। আনন্দ ভ্রমনে অংশগ্রহন করে ধন্য করেছিলেন সংগঠনের সম্মানিত উপদেষ্টা মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত. সুনামধন্য পত্রিকা দৈনিক আজকের চট্টগ্রামের সম্পাদক আব্দুল হাই এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শান্তি সওদাগর।। উনাদের হাত দিয়ে তুলে দিলেন বিজয়ীদের হাতে শত পুরস্কার। চেয়ার খেলায় বিজয়ী হলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলামের সহধর্মিণী মাফুজা নজরুল। পুরস্কার প্রাপ্তিতে আব্দুল করিম সেলিম ভাইয়েরতো তুলনাই নাই। যেন সব পুরস্কার তার পরিবারের জন্যই নেয়া হয়েছে। কুইজে, র্যাফেল ড্র, বিস্কুট খেলায় সব অংশগ্রহনে তার পরিবারের কেউ না কেউ বিজয়ী হয়েছে। অনেকে ঈর্ষা করেছে তাকে, কিন্তু কিছুই করার নেই, বিচারকতো ভুল করেন না। পুরস্কার বিতরণের পর বিকালটা যায় সমূদ্রে হারিয়ে ।ডুবন্ত সূর্যটার রঙ্গিন দৃশ্য, ঝাউ গাছের সবুজ প্রকৃতি আর ছুটে আসা ঢেউয়ের আন্দোলনে বীচের পরিবেশটা ছিল অসাধারণ সুন্দর। চল যাই, ঘুরে আসি, ঢেউয়ে ঢেউয়ে দোল খাই, হারিয়ে গেল সবে ঘুরাফিরাতে। এই সময়গুলো স্মৃতিময় করতে ফাকে ফাকে ছবি তোলা। সেকি আনন্দ। অায়োজন কমিটির সভাপতি সংগঠনের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আবছার রশিদ আইয়্যুব, সদস্য সচীব সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল আজীজ ও অর্থ সম্পাদক নুরুল কবিরের দিক নির্দেশনায়, আইটি বিষয়ক সম্পাদক ফুরকান সাঈফ, সম্মানিত নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর, কাজী ইব্রাহিম সেলিম, সদস্য মুজিবুল্লাহ তুষার, নাছির উদ্দিন, আফছার উদ্দিন লিটন, মোসলেহ উদ্দিন বাহার, এস, কে সাগর, জাহাঙ্গির আলম, কাজী মাহদী হাসানের আন্তরিক পরিশ্রমে অনেক সুন্দর ও শৃংখলার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সম্পূর্ন হচ্ছিল। তাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।সংগঠনের উপস্থিত আরো সদস্য ও অন্যান্য অতিথিদের প্রশংসা না করে উপায় ছিলনা। অসাধারণ ভাললাগার আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরা সার্থক হয়েছিল সংগঠনের ।
Discussion about this post