অন্তর আহম্মেদ,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:সাধারণত আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। “নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুতকৃত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসব।একসময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে যেন পিঠা-পায়েসের ধুম পড়ে যেতো। আমন্ত্রণ জানানো হতো আত্মীয়-পরিজনকে। দেশের নানা জায়গায় আয়োজন করা হতো পিঠামেলার। একসময় শুধুমাত্র হিন্দুরা অত্যন্ত সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব পালন করত, পরবর্তীতে সকল মানুষের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে নবান্ন উৎসব সমাদৃত ছিলো। ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপনপন শুরু হয়। এরই ধারাবহিকতায় নওগাঁয় ২দিন ব্যাপী নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। শহরের সমবায় অফিস চত্বরে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ জেলা শাখা এর আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল করিম তরফদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল করিম সাবু, সাধারন সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ উপলক্ষে ২দিন ব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পিঠা মেলার। এর আগে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুরাতন কালেক্টর চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে সমবায় অফিস চত্বরে এসে মিলিত হয়। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত পিঠা মেলার স্টলে শত শত দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের দাবী আগামীতে যেন আরো বড় পরিসরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
Discussion about this post