৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃশুক্রবার (১ জুন) বিকেলের ওই সময়টাতে অন্যান্য দিনের মতো গাড়ির খুব একটা চাপ নেই সড়কে তবুও কম নয়। সড়ক সচল রাখার দায়িত্ব পালন করছিলেন মোট ১৩ জন ট্রাফিক পুলিশ। রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও নগর রুটে চলাচল করা পাবলিক বাসগুলোর সঙ্গে রীতিমতো ট্রাফিক পুলিশের ‘যুদ্ধ’ করতে হচ্ছিল ।
নগরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারে সেজন্যই ট্রাফিক পুলিশের এমন ‘যুদ্ধ’ যানবাহনের সঙ্গে। সারাদিন রোজা রেখে ক্লান্ত শরীরে ইফতার ও সারতে হয় তাদের সড়কের উপরই । সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনে যথাসময়ে ইফতার করার সময়টাও তারা পান না।শুক্রবার বিকেলে নগরের জিইসি মোড়,শেখ মুজিব রোড় ফায়ার সার্ভিসের সামনে, কর্ণফুলী মার্কেট (চৌমুহনী) মোড়, কদমতলী মোড়, আগ্রাবাদ মোড়, বারেক বিল্ডং মোড়ে , দেওয়ান হাট মোড়ে , লালখানবাজার মোড়, ওয়াসা মোড়, গোলপাহাড় মোড়, চকবাজার মোড়, বহদ্দারহাট মোড় ও কাজীর দেউড়ি মোড়ে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায় ।
৬টা ২৫ মিনিটের দিকে জিইসি মোড়ের দায়িত্বে থাকা নগর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. কুদ্দস মিয়া বলেন, দায়িত্ব পালনের মধ্যেই করতে হয় আমাদের ইফতার। অনেক সময়তো ইফতারের ১০-১৫ মিনিট পরেও ইফতার করতে পারি না আমরা।
কুদ্দস মিয়া বলেন, আমরা ঠিকমতো ইফতার করতে না পারলেও কষ্ট লাগে না কিন্তু যখন ইফতারের সময় জ্যাম লেগে যায় নিজের কাছে কষ্ট লাগে। চেষ্টা করি যাতে মানুষ অন্তত বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারে।
কাজীর দেউড়ি মোড়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, যেদিন বিকেলে ডিউটি থাকে সেদিন ইফতার পথেই করতে হয় আমাদের।কাজীর দেউড়ি মোড়ে মোট ৫ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান সার্জেন্ট ওয়াহিদুল ইসলাম।
লালখানবাজার মোড়ে ৬ জন, বহদ্দারহাট মোড়ে ৯ জন, গোলপাহাড় মোড়ে ৪ জন, ওয়াসা মোড়ে ৫ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এসব ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য নগর পুলিশের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনের স্পটে ইফতার পৌঁছে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান বলেন, নগরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পারে সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে।
কুসুম দেওয়ান বলেন, মাঠে যারা কাজ করেন অনেক সময় তারা নিজেরা যথাসময়ে ইফতার করতে পারেন না। অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুধু পানি বা শরবত দিয়ে ইফতার সারেন।