বিশেষ প্রতিবেদকঃদক্ষিণ সুরমার জালালপুরে কলেজ ছাত্র, তরুণ খেলোয়াড় ও শিশুসহ ৭ জন নিরীহ দিনমজুরকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায়, তাদেরকে ছেড়ে দেয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শান্তনা জানিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সভায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা সুলাইমান হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য তপন চন্দ্র পাল, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়েছ আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের
সাবেক পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা কাচা মিয়া, যুব সমাজের পক্ষে ছানাউল হক ছানা, সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা কামরান হোসেন দারা, ফখরুল ইসলাম, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য আলী আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মীর মতিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান, সাব্বির, রাব্বি, মাহিন প্রমুখ। এছাড়াও বৃহত্তর জালালপুরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব সমাজ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সন্দেহ জনক ভাবে যাদেরকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে ছিলো, প্রকৃতপক্ষে তারা সৎ ও ভাল মানুষ। কোন ধরনের খারাপ কাজে সাথে তারা জড়িত নই। আগামীতে নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানি না করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নত করে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৮টায় জালালপুর বাজার থেকে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডাকাত সন্দেহে নিজ জালালপুর পুর্বভাগ গ্রামের কলেজ ছাত্র মুন্না, তরুণ খেলোয়াড় সেবুল আহমদ ও ৯ বছরের বালক পাভেল সহ ৭ জনকে আটক করে বিশ^নাথ থানায় নিয়ে যায়। সারারাত তাদেরকে থানায় আটক রাখে। পরে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতায় পুলিশে তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ^নাথ থানা পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।