বিশেষ প্রতিনিধিঃ২৫ ফেব্রুয়ারি,সোমবার বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সম্মিলিতভাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের প্রতি স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এছাড়া সোমবার সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পিলখানা ট্রাজেডির ১০ বছর পূর্ণ হলো । ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদরদফতরে কতিপয় বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা নিরস্ত্র সেনা কর্মকর্তাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে শহীদ হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।
বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে উচ্চ আদালতে। কিন্তু রায় ঘোষণার একবছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ হয়নি উচ্চ আদালতের রায়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, দ্রুত উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে।