জনতার কলাম-অল্পো পেয়েই যে মানুষগুলি বেশী সন্তোষ্ট হয়ে যায় সমাজ তাদেরকেই ঠকায় বেশী
দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতের ছোয়ায় বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক ভাবে সয়ংসম্পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মানব কন্যার ১০ বছরে দেশ এ্যানালক থেকে ডিজিটাল দেশে রুপান্তরীত হয়েছে.. সড়ক জনপথ বিভাগের অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে, আজ ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌছে গেছে, বিনামূল্যে বই সহ উপবৃত্তি নিয়ে দরিদ্র মানুষগুলির ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে বিদুৎতের আলো পৌছে গেছে, স্বনদীপের মতো দ্বীপেও বিদুৎ সংযোগের ব্যাবস্থা হয়েছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো দৈঘ্যতম সেতুর কাজ আজ সমাপ্তের পথে। আজ বাংলাদেশ কোন দেশের সাহায্যের আশায় থেমে থাকেনা বরং অন্য দেশের ১০ লক্ষ লোকের সমস্যা সমাধান করতে পারে, বাংলাদেশের গর্ভ জাতির গর্ভ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসস্থানের ব্যাবস্থা সহ সকল সহযোগিতা করার মতো ক্ষমতা দেখিয়েছে যা ইতিপূর্বে বিশ্বের কোন দেশ পারেনি। আর এটা সম্ভব হয়েছে দেশটা সঠিক যোগ্যতা সম্পূর্ণ নেত্রীর হাতে থাকার কারনে, আমরা আজ গর্ভিত বাংঙ্গালী, কিন্তু এতো উন্নয়ন হওয়ার পরও এই ডিজিটাল দেশে একটি শ্রেনী পেশার লোক আজও এ্যানালক হয়ে আছে এবং চরম অবহেলার পাত্র হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছে, আর এর কারন হলো এরা অল্পশিক্ষিত অল্পসন্তোষ্ট সহজসরল ও সমাজের নিরিহ পরিবারের লোক বলে। এরা অল্পশিক্ষিত বলে অন্যান্যদের মতো একতা নাই, সংক্ষায় ৪৬ হাজার লোক হলেও কেন্দ্রীয় ভাবে ডাকলে ১০ হাজার লোকও একত্র হতে পারেনা , সমাজের সবচেয়ে নিন্ম শ্রেনীর বিধায় সাহসও কম কখনো সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে সাহস করেনি,
দু একবার যাও আন্দোলনে নেমেছে সরকার মহলের বিভিন্ন এমপি মন্ত্রী সহ সরকারী উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তাও সফল হয়নি, শান্তনা নিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে তা আর কখনো বাস্তবায়ন হয়নি, শান্তনা নিয়েই চোঁপটি করে একবুক আশা নিয়ে ঘরে বসে আছে। দেশ যেখানে ডিজিটাল উন্নয়নের জোয়ারে বাঁসছে সেই ডিজিটাল দেশে একদল সরকারী নামক কর্মচারী সরকারী পোশাক পরিধান করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রামপুলিশ বাহিনী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়ে এখনো এ্যানালক পদ্ধতিতে কাঁদছে। দিন ও রাত্রি নাই যে কোন সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসি স্যারের নির্দেশ, এস আই স্যারদের নির্দেশ, ইউ এনও স্যারের নির্দেশ, ভূমি কর্মকর্তা এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশ, চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশ, ম্যামবার সাহেবদের নির্দেশ তার উপরে আবার এলাকার নেতা কর্মিদের নির্দেশ পালন করতে হচ্ছে। বেতন না থাকলেও নির্দেশ দাতার অভাব নেই। নাম মাত্র যে বেতন তাও আবার ৩/৪ মাস পর পর এরা তা পেয়ে থাকেন, কোন কোন জেলায় বা থানায় সেই নাম মাত্র বেতন দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার কারনে সরকারী অংশের বেতন পেলেও দির্ঘদিন ইউপি অংশের বেতন পায়না গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, ২০১৭/২০১৮ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসি মহোদয়গন গ্রামপুলিশ সদস্যদের সাপ্তাহিক থানা প্যারেডে অংশ গ্রহন করার জন্য প্রতি সপ্তাহে থানা হাজিরা ভাতা বাবদ ৩০০/ শত টাকা মাসে ৪ হাজিরায় ১২ শত টাকা নির্ধারন করা হলেও দেশের বেশীর ভাগ থানায় এখনো গ্রামপুলিশ সদস্যরা এই ভাতা পায়নি। বেতন বা ভাতা দির্ঘ দিন বন্ধ থাকলেও এ ব্যাপারে কারও সাথে কথা বলা যায়না, গ্রামপুলিশ বাহিনীর বেতন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব অর্পিত প্রতিটি থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউ এনও স্যারের হাতে, দির্ঘ দিন বেতন না পেলেও ইউ এনও স্যারের সাথে বেতনের ব্যাপারে গ্রামপুলিশ সদস্যরা কথা বলতে পারেনা এমনকি ইউ এনও স্যারের হেডক্লার্কের সাথে কথা বলা যায়না। তারপর আবার কথা বলতে গিয়ে কোন ভাবে ইউ এনও স্যার বা স্যারের হেড ক্লার্ক যদি মনোক্ষুন হয় তাহলে ধমক সহ শাস্তিও নেমে আসতে পারে গ্রামপুলিশ সদস্যেদের উপর তাই বেতন না পেলেও মনে কষ্ট পেটে ক্ষুদা আর মাথায় দূরচিন্তা নিয়ে মুখে অষ্ঠহাসী দিয়ে দিনরাত সকলের আদেশ নির্দেশ পালন করতে হয়। চেয়ারম্যান ম্যামবারগন এদের নিয়োগও দেয় দেখে দেখে, হয় নিজস্ব লোক না হয় সমাজের নিন্ম শ্রেনীর লোক, তাকে দিয়ে যেন সব কাজ করানো যায়, ক্ষেয়ে থাক আর না ক্ষেয়ে থাক কোন প্রতিবাদ যেন না করতে পারে। নিয়োগ বিধানে শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেনী পাস ও বয়স নির্ধারন করা থাকলেও নিয়োগ বিধান না মেনে অশিক্ষিত ও বেশী বয়স হয়ে যাওয়া লোকগুলিকেই নিয়োগ দেয় তাহারা, তাহারা জানে কোন শিক্ষিত বা অল্পো বয়সের কোন ছেলেকে নিয়োগ দিলে তাকে দিয়ে সব কাজ করানো যাবেনা, যে কোন সময় সে প্রতিবাদ করতে পারে। সব কিছু মিলিয়ে আজ এই উন্নয়নশীল দেশে দেশের কর্নধারেরা বেছে বেছে এই সহজসরল ও নিরিহ মানুষগুলিই শ্রমের ন্যায্য মূল্য থেকে বন্চিত করছে।
কমান্ডার এম এম লালমিয়া
সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক
জাতিয় মানবাধিকার ইউনিনিটি ধামরাই,ঢাকা।
মোবাইলঃ০১৭৮৯৪১৫৩১৯/০১৯২১৩৭৬৫৭৭.