আগামী বুধবার ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল বের করেছে জাগ্রত ছাত্র যুব জনতা। গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর কোতোয়ালি থানার পুরাতন রেলস্টেশন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য মিছিলটি বের হয়।
ভ্যানগাড়িতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি, ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ডপার্টি ছিল মিছিলের সামনে। এতে নেতৃত্ব দেন জাগ্রত ছাত্র যুব জনতা’র প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
মিছিলে অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কিছু ফ্যাস্টুন মানুষের নজর কাড়ে। এর মধ্যে কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল বানার জিইবে আগামী নির্বাচনত ভোট ফাইবোদে ইবে, শেখ হাসিনার সরকার সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য বার বার দরকার, হাম গইজ্যেদে জিইবে ভোট ফাইবোদে ইবে, পতেঙ্গার তুন ফৌজদারহাট ফইজ্জনতু আউটার সার্কুলার রোড বানার জিইবে ভোট ফাইবোদে ইবে ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে যখন পাকিস্তানি হায়েনারা আমাদের জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেদিন বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের সিংহপুরুষ জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছিলেন। বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য বলেছিলেন।
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার হয়েছে, উন্নয়ন হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিত্তি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন। কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল করে দুইটি শহরের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করবেন। বাঁশখালীতে বড় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। আনোয়ারা ও মিরসরাইতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে। মহেশখালী ও মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে। কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে। এসব হলে চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক হাব হবে।
তিনি বলেন, পটিয়া ঐতিহাসিক শহর। এখানে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের জন্ম। প্রীতিলতার পটিয়া। সেই পটিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জনসভা অবশ্যই সফল করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বাসে, ট্রেনে, সাম্পানে পটিয়ার জনসভায় যোগ দেব। জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার আহবায়ক এএসএম জাহিদ হোসেন এবং সদস্যসচিব রকিবুল আলম সাজ্জিসহ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন মিছিলে।
Discussion about this post