জনতার কলামঃবরিশাল নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিকতা, দেশপ্রেম। একজন মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতা কত বড় হলে মেডিকেল থেকে পাশ করার পর সরকারি সবচেয়ে বড় চাকুরি বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পাওয়ার পর ও সেটা ত্যাগ করে, নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিরাপত্তা কে তুচ্ছ করে, শ্রমজীবী-সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে, মুক্তির লক্ষ্যে নিজেকে সপে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাতারে। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ই শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার রক্ষা, শোষণ-লুটপাট থেকে দেশ এবং মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে যুক্ত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের রাজনীতির সাথে। ৩৪তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েও সরকারি চাকরিতে যোগ না দিয়ে এই চিকিৎসক রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত আছেন,তবে চিকিৎসা পেশা বাদ দেননি মনীষা চক্রবর্তী।তার চিকিৎসা সেবা বরিশাল নগরের গরীব অসহায় মানুষের জন্য। কখনো কখনো তিনি বস্তিতে কখন ও সংগঠন কার্যালয়ে কখনো পাড়া মহল্লায় আবার কখনো বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে মনীষা চক্রবর্তী। তাই তো বস্তিবাসীর কাছে তিনি ডাঃদিদি নামেই পরিচিত। কালো টাকা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা জনগনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের নেতৃত্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার ও শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ৩০ জুলাই আসন্ন বরিশাল সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের পক্ষ থেকে (মই প্রতিকে) মেয়র পদে লড়ছেন তিনি।বিসিসি নির্বাচনে তিনিই প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী। শুধু তাই নয় তিনি নির্বাচন করছে সাধারণ মানুষের টাকায়। মাটির ব্যাংকে গঠন করা হয়েছে তার নির্বাচনী তহবিল যা দেশে প্রথম । সাধ্য মত মাটির ব্যাংকে অর্থ দিয়ে নির্বাচনী ব্যায় বহন করছেন নগরীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।নির্বাচনি প্রচারেও ব্যাবক সারা পাচ্ছেন তিনি। তার নির্বাচনি প্রচারে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া ও অংশ নিচ্ছেন নগরীর চেনা অচেনা অনেকে।বরিশালের তরুণ ভোটার, শ্রমিক, কৃষক, নারী সকলেই বরিশালের নতুন মেয়র হিসেবে দেখতে চাইছেন সৎ যোগ্য তরুণ মেধাবী বস্তির এই ডাঃদিদি কে। জনগনের ধারনা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগনের ভোটে জয়ী হবেন মনিষা চক্রবর্তী।