প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসির প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা। এ সময় মন্ত্রীর ছেলে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। মন্ত্রীর ছেলে তাদের কলেজ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে যারা ভর্তি হচ্ছে তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর মহানগর ছাত্রলীগের একটি টিম আমরা ওই কলেজে পাঠাই। তারা প্রথমে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে যান। ছাত্রলীগ নেতাদের দেখে অধ্যক্ষ কলেজ থেকে বেরিয়ে যান। নেতারা উপাধ্যক্ষের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
‘এ সময় হঠাৎ করে মন্ত্রী মহোদয়ের ছেলে মুজিব সাহেব হাজির হন। তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের দেখেই উত্তেজিত হয়ে যান এবং তাদের কলেজ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করেন।’
হাজেরা তজু কলেজে বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়টি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাকারিয়া দস্তগীর।
প্রতিবাদ জানাতে কলেজে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রাহুল দাশ বলেন, সরকার মহানগরীতে একাদশ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। অথচ হাজেরা তজু কলেজে এই টাকার সঙ্গে উন্নয়ন ফি’র নামে ৫ হাজার টাকা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। পত্রিকায় বিষয়টি দেখে আমরা প্রতিবাদ করতে কলেজে গিয়েছিলাম।
রাহুল বলেন, মুজিব সাহেব এসে প্রথমে কার অনুমতি নিয়ে কলেজে ঢুকেছি সেটা জানতে চান। এরপর তিনি বলেন-এখানে এসব আন্দোলন হবে না। আপনাদের আত্মীয়স্বজন থাকলে বলেন। লিস্ট দেন। তাদের আমরা ফ্রি তে পড়াব।
‘আমরা বললাম-আমরা নিজেদের কারও জন্য আসিনি। সকল ছাত্রছাত্রীই আমাদের ভাইবোন। তখন মুজিব সাহেব আরও উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি একপ্রকার জোর করে আমাদের কলেজের গেইটের বাইরে বের করে দেন।’ বলেন রাহুল
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মুজিবুর রহমানের মোবাইলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পরও সাড়া মেলেনি। বারবার মোবাইল সংযোগ ব্যস্ত দেখা যায়।
একইভাবে কলেজের অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন খানের দুটি মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনিও প্রত্যেকবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এর আগে গতবছরও হাজেরা তজু কলেজে বাড়তি ফি আদায়ের অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছিল চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজে যাওয়া চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহসভাপতি তালেব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন শাহরিয়ার, উপআইন সম্পাদক মনির হোসেন, সহসম্পাদক রাহুল দাশ ও ওসমান গণি এবং সদস্য মিজানুর রহমান।
Discussion about this post