বিশেষ প্রতিবেদকঃমুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল এর প্রথম প্রয়াণ দিবস স্মরণে বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলা ও মহানগরর উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে মইনুদ্দিন খান বাদল ছিলেন আপসহীন। তিনি কখনো এ ব্যাপারে আপস করেননি। দেশ-জাতির সংকটে তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।তাঁর মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সোমবার, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সিলেট চৌহাট্টাস্থ বাংলাদেশ জাসদ এর অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিলেট মহানগর সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাম্যবাদী দল জেলা সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিং, বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাজাত কবীর, সিলেট মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছয়ফুল আলম, মহানগর নেতা কামাল পাশা, কুলাউড়ায় ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, ৮০ দশকের আমেরিকা প্রবাসী জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা মো: আব্দুল আহাদ প্রমূখ।
সভাপতির এডভোকেট জাকির আহমদ বলেন, জননেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল ছিলেন আপসহীন নেতা। তিনি কখনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের সাথে আপোস করেননি। অথচ আজ ক্ষমতায় থাকার-যাওয়ার জন্য রাজনীতি থেকে আর্দশ নির্বাসন দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মঈনুদ্দিন খান বাদল চট্টগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সেই সময় উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসার ছিলেন। পাকিস্তান আমলেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ছয় দফা ও ১১ দফা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে প্রতিরোধ আন্দোলনে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীনতার পর শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন করেন।
তিনি বহুবার কারাভোগ, পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন। তিনি সব সময় মনে করতেন সাম্য, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গরিব মানুষের মুক্তিতে সমাজতন্ত্রের বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।
Discussion about this post