জনতার কলামঃস্ত্রীঃ বাসায় যা চাল-ডাল আছে তা কাল পর্যন্ত হবে। তারপর কি করবো? তোমার বেতনের ব্যাপারে কোম্পানি কিছু বলেছে?
হাসবেন্ডঃ এখনো তো কিছু জানাই নাই। অফিস তো বন্ধ। বেতন কবে দিবে তার কোন ঠিক নাই।
স্ত্রীঃ আমি বলছিলাম কি, সবাই তো মানুষকে সাহায্য করছে। ওদের থেকে আনলে হয় না।
হাসবেন্ডঃ হবে না কেনো কিন্তু ওরা তো ছবি-ভিডিও ছাড়া খাবার দেয় না আবার সেই ছবি,ভিডিও ফেসবুকে দেই। অফিসের কলিগ,ছেলে-মেয়ে,আত্মীয় স্বজনরা দেখলে মান-সম্মান তো থাকবে না। অন্তত ছেলে-মেয়ের সামনে মুখ দেখাবো কি করে?
স্ত্রীঃ তুমি যদি কিছু না মনে করো তাহলে আমি বোরখা পরে গিয়ে নিয়ে আসি?তাহলে তো কেউ চিনবে না।
স্ত্রীর কথার কি উত্তর দিবে তা বুঝতে পারলেন না।মনের মধ্যে অজানা এক কষ্ট অনুভব করলেন। ৪ জনের ছোট এক সংসারে আজ অসহায় তিনি।মনের অজান্তেই আকাশের দিকে তাকালাম। চোখের কোনায় কখন যে পানি চলে এসেছে সেটাও বুঝতে পারলেন না।কেউ একজন বলেছিল “কষ্ট গুলো সবসময় নোনতা হয় যা চোখের পানির মাধ্যমে দুর হয় আর এইজন্যই চোখের পানি নোনতা হয়”।
বর্তমানে এইটা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা। যারা দিন আনে দিন খায় তাদেরকে আপনারা সহায়তা করছেন,ছবি-ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে দিচ্ছেন।সবাই লাইক-কমেন্ট করছে।আপনারা খুশি লাইক-কমেন্টে আর তারা খুশি খাবার পেয়ে।এতে তাদের মান-সম্মানের ভয় নাই কারন তাদের ফ্যামেলির কেউ ফেসবুক ব্যবহার করে না।আর যদিও বা করে তাহলে তাদের কোন সমস্যা না।
কিন্তু যারা মাসিক আনে মাসিক খায়, তাদের জন্য কি করবেন?
প্রকৃত পক্ষে মধ্যবৃত্ত পরিবার গুলো এই সময়ে অনেক কষ্টে আছে না পারছে বাইরে গিয়ে সাহায্য আনতে না পারছে ঘরে বসে থেকে পরিবারের খাবার জুগিয়ে দিতে,বিপাকে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ ।
ফাঈল ফটো