নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে রবিবার গাজীপুরে ভোটের প্রচারে যাওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আর দুঃখ প্রকাশ করায় তার প্রশংসা করেছেন সিইসি।
সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের অংশ হয়ে যান ক্ষমতাসীন দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। আর সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা সিইসিকে বলেন, প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি না জানার কারণে এটি হয়েছে। জানা মাত্রই তিনি সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন।
ইসির সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এইচ টি ইমাম। সেখানে তার পাশেই দাঁড়িয়ে নওফেল।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘নওফেল একজন ভালো রাজনীতিবিদ। তিনি একজন ব্যারিস্টার। সেদিন যা হয়েছে তা না জেনে হয়েছে। জানার ২০ মিনিটের মধ্যেই তিনি গাজীপুর থেকে চলে এসেছেন। এই বিষয়টি আজ ইসির কাছে বলেছেন নওফেল। ঘটনার জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’
নির্বাচন কমিশন কী বলেছে-এমন প্রশ্নে ইমাম বলেন, ‘দুঃখপ্রকাশ করায় এবং ভুল স্বীকার করায় নির্বাচন কমিশনারেরা খুশি হয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন রাজনীতিবিদই তাঁরা চান। যারা ভুল হলে দুঃখপ্রকাশ করবেন। ভুল স্বীকার করবেন এবং ভবিষ্যতে আর ভুল করবেন না।’
মঙ্গলবারের ভোটকে সামনে রেখে দুই প্রধান দলের শীর্ষ নেতারা গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই নিয়মিত প্রচার চালিয়েছেন গাজীপুরে। তবে ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনী এলাকার বাইরের কারও সেখানে অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা দেয় নির্বাচন কমিশন।
তবে রবিবার সকালে নওফেলের পাশাপাশি খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্থগিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্র্রার্থী আতিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন রবিবারও গাজীপুরে প্রচার চালিয়েছেন।
সেদিন দুপুরে নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সম্মেলনও করেন নওফেল। এ সময় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে তার গাজীপুর আসার বিষয়ে প্রশ্নের এক পর্যায়ে বিষয়টি না জানার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই ফিরে আসেন।
নওফেলের মতো আতিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও বিষয়টি না জানার কারণে গাজীপুর গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
তবে এই ঘটনাটি নওফেলের ওই দিনের ঘটনায় নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন এইচ টি ইমাম। বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। এ ধরনের সংবাদ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে।’
এর আগে বেলা ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন সিইসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে বসে।
প্রতিনিধিদলে নওফেল ছাড়াও ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাউসার, সাবেক সচিব রাশেদুল হক ও উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
Discussion about this post