বিশেষ প্রতিনিধিঃবায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বায়তুল করম মার্কেটের সেলামী মূল্যে ক্রয়কৃত দোকানের অবৈধ দখলের প্রতিবাদে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেলামীমূল্যে ক্রেতা সেনা বীর মুক্তিযোদ্ধা অনারারী ক্যাপ্টেন (অব.) মরহুম ওয়ালী আর্শ্বাদ এর পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল আলম, কমান্ডার জাফর আহম্মদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, মইনুল ইসলাম, এম.এ মান্নান খান, মো. জাকির হোসেন, লিয়াকত আলী শেখ, রফিকুল ইসলাম মানিক, এসি ডেভিট, হাজী মোঃ আবুল কাসেম, মোঃ আবু তাহের সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা।
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা অনারারী ক্যাপ্টেন (অবঃ) মরহুম ওয়ালী আর্শ্বাদ এর পুত্র আব্দুল্লাহ বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বায়তুল করম মার্কেটের ডি-১, ডি-২, ডি-৩ দোকান তিনটির মালিক মীরপাড়া অক্সিজেন বসবাসকারী মোঃ শোয়াইব হতে ১৯৯১ সালে সেলামী চুক্তিনামায় ক্রয় করেন মরহুম ওয়ালী আর্শ্বাদ। চুক্তিনামার আলোকে রশিদমূলে ভাড়া পরিশোধ করা অবস্থায় ২০০০ সালে পিতা ওয়ালী আর্শ্বাদ এর মৃত্যুর পর পিতার স্থলে ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন আবদুল্লাহ। কিন্তু শারিরিক অসুস্থতায় ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারায় ডি-১ দোকানটি পরিচালনার জন্য চুক্তিনামা মূলে মোঃ কফিল উদ্দিন, ডি-২ দোকানটি শহিদুর রহমানকে দেন।ডি-৩ দোকানটি আবদুল্লাহর বোন মনোয়ারা বেগম ব্যবসা পরিচালনার জন্য রফিক উল্লাকে দেন। চুক্তিনামার আলোকে রশিদমূলে ভাড়া পরিশোধ করা অবস্থায় ২০০৩ সালে মূল মালিক শোয়াইবের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ কর্তৃক নিযুক্ত ম্যানেজারকে ভাড়া পরিশোধ করা অবস্থায় ২০০৬ সালে মূল মালিকের ওয়ারিশ বন্টন মূলে কন্যা আক্তারুন্নেছা,জেবুন্নেছা ও কামরুন্নেছার পক্ষে আক্তারুন্নেছার পুত্র জাওয়াদুল করিম চৌধুরী ও মোঃ তুষার প্রকাশ আজিজুল হক রশিদমূলে গ্রহন করে।
পরবর্তীতে মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানের কুপ্ররোচনায় ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এ মাসিক ভাড়া আদায় করলেও রশিদ প্রদান করেনি।পরবর্তীতে তারা আবদুল্লাহর সাথে চুক্তিনামা রেজিস্ট্রির কথা বলে তা না করায় আব্দুল্লাহ আদালতের আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে মূল মালিক পক্ষ আবদুল্লার ব্যবসায়িক পরিচালক ও অংশিদারদের সাথে অন্যায়ভাবে ক ড সিরিজের ২৩৪৮৭৬, ২৩৪৮৭৬৩, ২৩৪৮৭৬৫, ২৩৪৮৭৫৯, ২৩৪৮৭৬০, ২৩৪৮৭৬১, ২৩৪৮৭৫৬, ২৩৪৮৭৫৭, ২৩৪৮৭৫৮ স্ট্যাম্পমূলে জাল দলিল সৃজন করে জাল চুক্তিনামা তৈরি করে যা ট্রেজারীতে যাচাই করলে এগুলো ১৬/০২/১৭ সালে বাজারে সরবরাহ করা বলে জানা যায়।কিন্তু জাল চুক্তিনামায় ২৫/০৭/২০১৬ তে চুক্তিনামা সৃষ্ট বলে দেখানো হয়।
এ নিয়ে আদালতে ০৮/১০/১৭ ইং তারিখে সি আর মামলা নং ৩৪/১৭ দায়ের করেন আবদুল্লাহ।আদালতের নির্দেশে বায়েজিদ থানা ৩০(১০)১৭ নং মামলা রজু করে ১,২,৭,৮ নং আসামীদের গ্রেফতার করে ও ২৯/১০/১৭ ইং তারিখে জামিনের আবেদন করা আসামী আক্তারুন্নেছা, জেবুন্নেছা ও কামরুন্নেছাকে জেল হাজতে পাঠান।
পরে ২১/১১/১৭ ইং আসামীরা আবদুল্লাহর সাথে নতুন চুক্তি করবে বলে মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত হলে পরবর্তীতে চুক্তি না করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, সন্ত্রাসী দ্বারা প্রাণ নাশের হুমকি দেয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড মুছে নতুন নাম লিখে জবর দখল করে। বিভিন্ন সময় হুমকির কারণে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একাধিক জিডি ও করা হয় যাদের নং ৭৭০ তারিখ ১২/০৪/২০১৭, ২৩৭/১৭ তাং ০১/১১/১৭, ১১২৭/১৭ তাং ১৮/১১/১৭, ১৬৩৪/১৯ তারিখ ২৬/০১/১৯।
আবদুল্লাহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগীতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।