মোঃ কামাল হোসেনঃ চট্টগ্রামের দক্ষিন রাঙ্গুনিয়ার শিলক সরফভাটা সংযোগ সেতুর (এম সাদেক চৌধুরী ব্রীজ) নিচে কটেজ এর মতো নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে বাংলো টাইপের একটি মাদক আস্তানা স্থানীয় সচেতন জনগন উচ্ছেদ করেছে। ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকায় সরফভাটার মাদক ব্যবসায়ী সেন্ডিকেটের প্রধান নুরআলী (৪২) এর মাদক আখড়া খ্যাত আস্তানাটি উচ্ছেদের নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা এনায়েতুর রহিম। প্রায় তিন শতাদিক সচেতন জনগন এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়। এর আগে নুর আলীর বিলাস বহুল পাকা দালান ঘেরাও করে স্থানীয় জনগন বিক্ষোভ করে, বিক্ষোভের একপর্যায়ে কৌশলে নুর আলী পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। নুর আলী দক্ষিন রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাইকারি হারে মাদক ব্যবসা করে কোটিপতির তালিকায় নাম লিখিছে বলে স্থানীয় জনমতে বিষয়টি উঠে আসে।বিভিন্ন সুত্রে জানাযায় দক্ষিন রাঙ্গুনিয়ার মাদক ব্যবসায়ী নুর আলী স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় মাদক জগতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। মাদক স্পটটি উচ্ছেদকালে সেখান থেকে মাদক ও মাদকসেবিদের কাউকে পাওয়া নাগেলেও ভিআইপি মাদকসেবীদের আপ্পায়নের জন্য রাখা তিনটি ছাগল, রাম দা, ৬৫০ প্যকেট গ্যাস লাইটার জব্দ করা হয়। পরে এসব মালামাল স্থাণীয় চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দীন চৌধুরীর জিম্মায় রাখা হয়। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ এর কাছে জানতে চাইলে, মাদক স্পট উচ্ছেদের জন্য এলাকাবাসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আমার সংগ্রাম চলছে। কিন্তু আজ আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও বড় অসহায়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কারনে এই এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছেনা। আজ যে কাজটি এলাকার সচেতন জনসাধারন করেছে তা করার দায়ীত্ব ছিল আমার। মাদকের ব্যাপারে এই এলাকার জনসাধারন এখন যেভাবে সোচ্ছার ভুমিকা পালন করতেছে তাতে আমার মনোবলও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ ভুইয়া বলেন, আমি শুনেছি নুর আলী দক্ষিন রাঙ্গুনিয়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে বিভিন্ন মাদক স্পটে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই মাদক ব্যবসায়ীরা একদিন অবশ্যই ধরা পরবে। শিলক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুজিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, নুর আলী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সেতুর নিচে যে মাদক স্পটটি রয়েছে তাতে অনেকবার অভিযান চালানো হয়েছে।