৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃলুণ্ঠিত মালামাল ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে খুন হয়েছিলেন কামাল ডাকাত। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাসেমনগর এলাকায় কামালের গুলিবিদ্ধ মরদেহ অজ্ঞাত অবস্থায় পাওয়ায় গিয়েছিল। দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে সেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, অজ্ঞাতনামা ওই লোকটি ছিলেন নগরীর পাহাড়তলী থানার বৌবাজার পানির কল এলাকার বাসিন্দা মো. কামালের (৩৮)। তিনি নোয়াখালীর সুধারাম থানার গৌরীপুরের শওকত আলীর ছেলে। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের তদন্তে জানা যায়, কামাল একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য ছিল। বাড়বকুণ্ডে ডাকাতির পর মালামাল ভাগ করা নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কামালকে গুলি করে খুন করে মরদেহটি ফেলে যায়। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ কোনো আসামির খোঁজ না পেয়ে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত তা গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিআইবিকে নির্দেশ দেন।
পিআইবির তদন্ত কর্মকর্তা বশির আহমদ খান প্রথমে ডাকাত কামালের সহযোগীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করেন। এক মাসের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি পিআইবির ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমানের প্রযুক্তিগত সহায়তায় শনিবার (৩১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার ময়নামতিতে আত্মগোপনে থাকা সীতাকুণ্ডের মসজিদ্দা মোল্লাপাড়ার মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৭) ও চকরিয়ার কাকারায় আত্মগোপনে থাকা সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডের মিয়াজীপাড়ার নুরুল আলমের ছেলে মো. ইকবাল হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেন। তারা দুইজনই সড়ক-ডাকাত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ দুই ডাকাত স্বীকার কলেছে, কামালের সঙ্গে সেদিন রাতে তারাও ডাকাতি করতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড, ফেনী সদর মডেল থানা, চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক সড়ক ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

