জি,এম,আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃশ্যামনগর জমিদার বাড়িটি বিলুপ্ত হয়ে ধবংসের শেষ সীমায় পৌঁছেছে!দেখার কেউ নেই। শ্যামনগর উপজেলার সদরে দেড় শতাধিক বছর পূর্বে জমিদার হরিচরণ রায় চৌধুরী তিনতলা বিশিষ্ট এল প্যার্টানের যে বাড়িটি নির্মাণ করেছিল আজ তা ধবংসের শেষ সীমায় পৌঁছেছে।এখানকার জনগোষ্ঠীর লালসা আর প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের অবজ্ঞার কারণে জমিদার বাড়ির দক্ষিণ অংশের ভবনের অর্ধেকই ইতিমধ্যে নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে।প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে ভবন থেকে মূল্যবান কাঠের কড়ে এবং বরগাসমূহ খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া দিনের বেলায় এখাকার নারী ও শিশুরা প্রকাশ্যে ইট খুলে নিয়ে গেলে ও দেখার কেউ নেই।সরেজমিনে শ্যামনগর জমিদার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ৭/৮ জন মহিলা ছাদ খুলে যাওয়া অংশের ইট ছাড়ানোর কাজ করছে আর তাদের ছয় থেকে দশ বছর বয়সী শিশুরা ঝুড়িতে করে সেসব ইট ও সুরকী নিয়ে যাচেছ। সুরকী ও ইট সরানোর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে মহিলারা জানায় এখানকার প্রত্যেকেইতো ইট ও সুরকী নিয়ে যায়।এগুলো কোন কাজে ব্যবহার করা হবে জিজ্ঞাসা করতেই তারা জানায় ইট গুলো বাড়িতে নিয়ে খোয়া তৈরী করে বিক্রি করা হবে।এখানকার বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর যাবত এখানকার লোকজন গোপনে কিংবা লুকিয়ে মূল্যবান লোহার কড়ে,সেগুন কাঠের বরগা এবং ইট ও সুরকী সরানোর কাজে লিপ্ত থাকলে ও গত কয়েক মাস যাবত তা একেবারে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে।প্রতিদিন ভ্যান যোগে ইট ও সুরকী পাচার করে লাভবান হচেছ এখানকার লোকজন পাশাপাশি মুছে ফেলছে দেড় শতাধিক বছরের ইতিহাস । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এখানকার দুই তিন জন আক্ষেপ করে বলেন ভবন টি ভেঙে জায়গাটি অবমুক্তি করা হচেছ। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেন,উন্মুক্ত জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাবে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে কখনও এ সংএান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় নি বিভিন্ন সময় ধবংস হতে থাকা জমিদার বাড়িটি অবশিষটংশ রক্ষার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়নি বলে জানান এলাকাবাসি ,ইতিমধ্যে ভবনের দক্ষিণ অংশ পুরোপুরি নিশিচহু হওয়ার পর এখোন চলছে মধ্যভাগের ভাঙগান কাজ। যে গাতিতে ইট ও সুরকী সরানোর কাজ চলছে তাতে আশস্কা করা হচেছ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জমিদার বাড়ির পরিবর্তে সেখানে একটি বড় মাঠের ঠিকানা খুঁজে পাবে সবাই। নজর কাড়া নির্মাণ শ্রেণীতে গড়ে তোলা শ্যামনগর জমিদার বাড়িটির স্নৃতিচিহ্ন রক্ষায় কোন পক্ষকেই উদ্যেগী হতে দেখা যায় নি বলেই মাএ দেড়শত বছরের মধ্যে তা ধবংস হয়ে যাওয়া ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। সচেতন মহলের ধারনা যেটুকু অবশিষট আছে সেটুকু ধরে রাখার জন্য প্রশাসনের আন্তরিক সদিচ্ছায় যথেষ্ট। উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসি ।