বিশেষ প্রতিনিধি,সীতাকুণ্ড,চট্টগ্রামঃ উত্তর চট্টগ্রামের এক মাত্র মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুবাইদিয়া ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসাটি ফাযিল( স্নাতক) শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তির অনুমতি পেয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০ সেশনে মাদ্রাসটি ফাযিল শ্রেণিতে ছাত্রী ভর্তি করাতে পারবে। ফাযিল চালুর অফিস আদেশ পাওয়ার পর মাদ্রাসা মিলনায়তনে শিক্ষক ছাত্রী অভিভাবক এর সমন্বয়ে এক শুকরিয়া সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল কবির জানান তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা (স্মারক ২০১৯/৬৫২৫) এর অফিস আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ফাজিল খোলার অনুমতি দিয়েছে। আমরা আগামী ২০১৯-২০ সেশন থেকে ফজিলে ছাত্রীদের ভর্তি করাতে পারবো। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডীন পরিদর্শন করে যায়।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম জানান আমরা ফাজিলের অফিস আদেশ পেয়েছি। ফাজিল ছাত্রী ভর্তি করা যাবে এবছর থেকে। তিনি জানান সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত যুবাইদিয়া মহিলা মাদ্রাসাটি ১৯৮৬ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে হাটি হাটি পা পা করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত। পৌরসদরের দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন আলহাজ্ব এলাহী বক্স সওদাগর। তাঁর দানকৃত জমিতে আজ মাদ্রাসাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। আলহাজ্ব এলাহী বক্স সওদাগরের এ দান এলাকার তথা সীতাকুণ্ডের নারী শিক্ষার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
মাদ্রাসাটিতে সরকারীভবনের পাশাপাশি বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী নিজস্ব অর্থায়নে ৫তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মান করায় প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানে বিশেষ ভূমিকা রাখেছে। মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি জানান মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করার পর মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা নিতে শহরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয় । যার ফলে অনেক মেয়ে আলিম পাশ করার পর বাধ্য হয়ে পড়া শুনা অফ করে দেই। মাদ্রাসাটি ফাজিল হওয়ায় এখন মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে সহজ হয়ে গেল। বিশেষ করে গরীব শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই ফাযিল (ডিগ্রী) পাশ করতে পারবে। মাদ্রাসাটি পর্যায়ক্রমে কামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া সুদক্ষ পরিচালনা পর্যদ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় মাদ্রাসাটির ভাল ফলাফল অভিভাবক মহলে খুব সুনাম অর্জন করেছে।