একাত্তর বাংলাদেশ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও
No Result
View All Result
একাত্তর বাংলাদেশ
No Result
View All Result
Home জনতার কলাম

স্বাধীনতা সংগ্রামে এই গ্রামের কিছু দামাল ছেলেদের আছে বীরত্ব গাঁথা কাহিনী

প্রকাশকাল : 11/12/18, সময় : 10:06 pm
0 0
0
0
SHARES
18
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

জনতার কলাম-মোঃ সোহান বোড়া, নড়াইলঃবিগত বৃহত্তর যশোর জেলা বর্তমান মাগুরা, নড়াইল জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদী। এই নবগঙ্গা নদীর তীরে ছায়া সুবিনীড় সারি সারি নারিকেল সুপারী আরো হরেক রকম বৃক্ষরাজীর সমারোহের মধ্যে ছোট একটি গ্রাম বেরইল, পলিতা। যে গ্রামের আছে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শিক্ষা সংস্কৃতির এক অনন্য ঐতিহ্য। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই গ্রামের কিছু দামাল ছেলেদের আছে বীরত্ব গাঁথা কাহিনী। এই ঐতিহ্যবাহী গ্রামেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদ, বাবার নাম মৃত. মুন্সী আ. ওয়াজেদ এবং মাতা মৃত. আছিয়া বেগম। আজ আমরা সেই ১৯৭১ সালের অকুতোভয় বীর সেনা বাংলা মায়ের নির্ভীক সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদের একটি বীরত্ব কাহিনী শুনে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস চালাবো। মুন্সী নাছির আহমেদ ১৯৫৪ সালে বর্তমানে মাগুরা জেলার বেরইল পলিতা গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকার সবাই জানে মুন্সী বাড়ি হিসাবে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মাগুরায় তিনি পাক বাহিনীর হাতে আটক হন এবং অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন। সেই নির্যাতনের যন্ত্রণা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন। পরে তাঁর গ্রামের একজন মহৎ ব্যক্তির অনেক চেষ্টা তদবিরের ফলে পাক বাহিনীর হাত থেকে ছাড়া পান। পরবর্তীতে মুন্সী নাছির আহমেদ অনেকে তাঁকে রাশেদ নামেও জানে ভারতে গমন করেন এবং উচ্চতর ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে দেশে এসে বিভিন্ন যুদ্ধ ক্ষেত্রে বীরত্বের সঙ্গে সম্মুখ সমরে অবতীর্ন হন। তবে একটি যুদ্ধ, একটি দিন, একটি মুহুর্ত না বললে হয়তো তাঁকে যথাযথ সম্মান জানানো যাবে না। ঘটনাটি যখন তিনি বর্ণনা করছিলেন তখন বারবার তাঁর হৃদয়, মন ও চোখ বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছিল। ঘটনাটি ছিল সেপ্টম্বর ১৯৭১ সাল। তৎকালীন মহাম্মদপুর থানার নহাটা ইউনিয়ন ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তঘাটি, এ সংবাদ পাক সেনাদেরও অজানা ছিল না। তাই পাক সেনারা সুযোগ বুঝে সেপ্টেম্বরের এক সকালে নড়াইল থেকে নহাটায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি আক্রমণের জন্য গানবোটে ৪০০/৫০০ জন পাক সেনাসহ রওনা হয়। ঘটনাটি মুহুর্তের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধার বীর সেনা মরহুম বীর প্রতীক গোলাম ইয়াকুব মিয়ার গোছরে আসে। তখন বীর প্রতীক গোলাম ইয়াকুব সাহেব প্রায় ৩০০ জন মুক্তি সেনাকে পাক সেনাদের গতিরোধ করিবার নির্দেশ দেন। এদিকে পাক সেনা এবং অন্যদিকে বীর প্রতীক গোলাম ইয়াকুব, সহযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদ সহ প্রায় ৩০০ জন মুক্তিসেনা নবগঙ্গা নদীর পাড়ে জয়রামপুর-গঙ্গারামপুর গ্রামে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ন হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাক বাহিনী নহাটার দিকে আর অগ্রসর হতে পারেনি। উপরোক্ত তারা সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কিছু গানবোট ও নৌকা যোগে পালায়ন করে। পালায়নের সময় তারা প্রচুর পরিমান অস্ত্রশস্ত্র রেখে যায়। এই যুদ্ধে অত্র এলাকার লোকজনের ভাষ্যমতে ৩৫-৪০ জন পাক সেনা নিহত হয় এবং অনেক আহত হয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মুন্সী নাছির আহমেদের পার্শ্বে যুদ্ধক্ষেত্রে আবীর হোসেন নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাতে থাকে পরবর্তীতে অত্যাধিক রক্তক্ষরণে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবীর হোসেন শাহাদাৎ বরণ করেন। এই সহযোদ্ধা শহীদ আবীর হোসেনের অকাল শাহাদাৎ বরণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদকে আজও তাড়া দেয় এবং হৃদয়কে বেদনা ভারাক্রান্ত করে। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদ সমাজ সেবামূলক কাজে অনুপ্রেরণাও যোগায়। তাঁর সনদ নং-ম ১৭৬০২, গেজেট নং-১৮১। ব্যক্তি জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদের স্ত্রী রেখা বেগম, দুই পুত্রঃ ১। মুন্সী সুমন ২। মুন্সী সুজন ও একমাত্র কন্যা দিপা পারভীন এবং নাতী নাতনীদের নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদ ঘাড় ও হাতের কিছু অসুখে ভুগছেন, আমরা তার আরোগ্য কামনা করি। তিনি দেশ বাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমরা আশাকরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাছির আহমেদের সন্তানরা সহ আপামর জনসাধারণ তাঁর মত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের দেশকে প্রকৃত সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।

ShareTweetPin
Previous Post

বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ওমান

Next Post

নড়াইলে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

Next Post

নড়াইলে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

বিজয়ের মাসে চেতনার লাল-সবুজের পতাকা বিক্রির ধুম

৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম অসম্পূর্ণ

প্রকাশক-সম্পাদকঃশেখ সেলিম
চট্টগ্রাম অফিস :
পাঠানটুলী রোড, নাজিরপোল, চট্টগ্রাম।
মোবাইল: 01768-214512, 01960557400
ই-মেইল : [email protected]

একাত্তর বাংলাদেশ

আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে লিখি

“আপনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জানান, আমরা তা প্রকাশ করব নতুন প্রজন্মের স্বার্থে”
বিঃদ্রঃ- মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবারের যে কোন বিজ্ঞাপন বিনা খরচে প্রকাশ করা হয়।
সহযোগিতায়: মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশন |

Copyright©2018: দৈনিক একাত্তর বাংলাদেশ II Design By:F.A.CREATIVE FIRM

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আর্ন্তজাতিক
  • অর্থনীতি
  • সারাবাংলা
  • চট্টগ্রাম সংবাদ
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বিবিধ
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • সাহিত্য সংস্কৃতি
    • লাইফস্টাইল
  • ভিডিও

Copyright©2018: দৈনিক একাত্তর বাংলাদেশ II Design By:F.A.CREATIVE FIRM

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms bellow to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In