বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম সাংবাদিক পাড়া নামে খ্যাত নগরীর কাজীর দেউরী এস এস খালেদ রোডের কর্ণফুলী টাওয়ার। এই টাওয়ারটি অধিক অগ্নিঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে সামনে সাইনবোর্ডও লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
এই টাওয়ারেই অধিকাংশ বেসরকারী টিভি, পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পেপারের কার্যালয়।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী টিভি চ্যানেল এর মধ্যে রয়েছে সময় টিভি, বাংলা ভিশন, জি টিভি, বাংলা টিভি, নিউজ২৪, একুশে টিভি, দীপ্ত টিভি, চ্যানেল৯।
দৈনিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে রয়েছে ডেইলী স্টার, দৈনিক নয়াদিগন্ত. দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক বণিক বার্তা, ডেইলী সান, বাংলা নিউজ২৪.কম, বার্তা২৪, দৈনিক মুক্তবাণী, সিএনএন বাংলাদেশ, সারাবাংলা.কম ।
এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এখানে রয়েছে পটিয়া সংসদ সদস্য ও হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হকের ব্যক্তিগত কার্যালয়। আরো বেশ করি প্রাইভেট কোং অফিস ও ফ্যামিলী বাসা এই ঝুকিপূর্ণ ভবনেই বসবাস করে আসছে।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর সতর্কতা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্স এর লোকজন নগরীর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে। চিহ্নিত ভবন গুলোর মধ্যে কর্ণফুলী টাওয়ারকে অধিক অগ্নিঝুঁকি বলে সাইন বোর্ড দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে অবহিত করেছেন বলে জানান চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্স সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রামে অনেক ভাল ভাল ভবনেও অগ্নিঝুকিতে দেখছি। মিডিয়া পাড়া খ্যাত এই ভবনটি অধিক অগ্নিঝুঁকি বলেও জানান তিনি।
ডেইলী স্টার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তফা ইউসুফ তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আক্ষেপ করে বললেন, যাক এবার মরলেও শান্তি পাবো। অবশেষে অফিসিয়ালি অগ্নিঝুঁকির স্বীকৃতি পেল আমাদের অফিসের ভবনটি।
তিনি আরো বলেন কিছুদিন আগে স্ট্যাটাস দিছিলাম আমরা যে ভবনে অফিস করি সেটার অগ্নিঝুঁকি নিয়ে। আজকে ফায়ার সার্ভিস এসে হাজির। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। পরে জানতে পারলাম অগ্নিনিরাপত্তা কতটা আছে সেটা দেখতে এসছে। তারা জানালো আমরা শতভাগ ঝুঁকির মধ্যে আছি।
দৈনিক বণিক বার্তার সুজিত সাহা ফেইসবুকে লিখেছেন, অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় আমার বিল্ডিং প্রথম সারিতে। ফায়ার সার্ভিস এসে সিল মাইরা গেল।