৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদক ঃঅবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশাল বাজেটে আনোয়ারা উপকূলের বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে। বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে কয়েকশ’ কোটি টাকা। হাইলধর, তৈলারদ্বীপ, বরুমছড়া, জুঁইদন্ডি, রায়পুর ও গহিরায় উপকূল রক্ষার জন্য এই বেড়িবাঁধ নির্মান ও সংস্কার করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র গহিরা উপকূলের বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এসব বেড়িবাঁধের মেরামত এবং নতুনভাবে নির্মান কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট সুত্র। ৯১সালের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে আনোয়ারা উপকূলের গহিরা ও জুঁইদন্ডিতে ৫০হাজারের অধিক নারী-পুরুষ মারা যান। অনেকের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সমুদ্র উপকূল গহিরায় বিশাল বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়। চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার থেকে গহিরা বার আউরিয়া বঙ্গোপসাগরের মুখ পর্যন্ত বিশাল বেড়িবাঁধটি নির্মান করা হয়। পরে সরেঙ্গা, জুঁইদন্ডি, তৈলারদ্বীপ, হাইলধরসহ আনোয়ারার অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়। দীর্ঘ এই সময়ে এসব বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।
উপকূলীয় স্থানীয় সাধারন মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেড়িবাঁধ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড আনোয়ারা সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধ নতুনভাবে মেরামত পুনরাকৃতিকরণ এর লক্ষে ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়। পরুয়া পাড়া বাতিঘর থেকে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ বর্তমানে পুরোদমে চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মানের ক্ষেত্রে শুরুতেই অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদার। নিয়মের বাইরে যেনতেনভাবে কাজ শেষ করারও চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প কর্মকর্তা স্থানীয়দের অভিযোগ সত্যি নয় উল্লেখ করে বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে সঠিক মান বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। ৯১ সালের ঘূর্নিঝড়ের পর সমুদ্র উপকূলের এলাকাজুড়ে বিশাল বেড়িবাঁধটি নির্মান করা হলেও এরপর থেকে আর সংস্কার করা হয়নি। জানাগেছে এসময়ে বেড়িবাঁধের অধিকাংশ স্থানে ফাটল দেখা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।