বিশেষ প্রতিবেদকঃসোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এর আগে গত ১২ অক্টোবর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীর সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্টের খাবার, রেস্টুরেন্টের মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন তিনি। যে টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসা ভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস দুদককে দেখাতে পারেননি পাপিয়া ও তার স্বামী।