বিশেষ প্রতিনিধিঃরাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে বিইউপির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অবরোধ কর্মসূচি আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নেতা শাহরিয়ার হাসান।
এর আগে সকালে বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেখানে নিহত শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী স্মরণে তার নামে ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তিনি। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিইউপি ভিসি জেনারেল বারি। ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মেয়র আতিকুল বলেন, তোমাদের দাবিগুলোর একটি বাস্তবায়নের জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হলো। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে বলে ওঠেন, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালবে। কোনো আশ্বাস আমরা আর শুনতে চাই না। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে এমন দেখতে চাই। যখন আমাদের দাবি পূরণ হবে তখন আমরা আন্দোলন ছেড়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবো। এসময় শিক্ষার্থী ‘বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদের এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজনে গাড়ির কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স চেক করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চেকপোস্ট বসানো যেতে পারে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভাটারা এলাকায় রাস্তা পার হয়ে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় আবরার।
এরপরই রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রগতি সরণি অবরোধ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ করেছেন।
Discussion about this post