ঈদকে সামনে রেখে জননিরাপত্তা বিধান এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে এক গুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, এবার চট্টগ্রামবাসীকে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপনের নিশ্চয়তা দিতে চায় জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ জুন) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রণ, জাল নোটের সরবরাহ রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা জেলা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে চট্টগ্রামবাসীকে সুযোগ করে দিতে চাই।
তিনি বলেন, ঈদে বাস, ট্রেন এবং নৌপথে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা যাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারে, যাত্রীরা যাতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কিংবা ছিনতাইয়ের শিকার না হন এ জন্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জেলা প্রশাসন কাজ করবে।
সরকার নির্ধারিত সময়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভায় মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঈদের আগে আমরা কোনো শ্রমিক অসন্তোষ দেখতে চাই না। শ্রমিকদের পাওনা নির্ধারিত সময়েই মিটিয়ে দিতে হবে। এ সময় তিনি ঈদ জামাতকে ঘিরে যে কোন ধরনের নাশকতা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
সভায় পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো বড় বাধা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই হায়রানির অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পরিবহন সেক্টরে আমরা ‘দুষ্ট চক্রের’ ভেতরে আছি।
তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে যানজট এড়াতে সড়কে পুলিশি তল্লাশি সীমিত করা হলেও মাদক নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে তল্লাশি চলবে। নৌ ঘাট, বাস ও রেল স্টেশনে পুলিশের নিয়মিত ফোর্স ছাড়াও মোবাইল টিম কাজ করবে। যেকোন ধরনের সমস্যা হলে যে কেউ ৯৯৯ এবং ৩৩৩ নাম্বারে অভিযোগ করে আমাদের কাছে প্রতিকার চাইতে পারেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
ইভটিজিং এবং বখাটেপনার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে মার্কেটগুলোর সামনে মোটরসাইকেল নিয়ে বখাটেপনা করা হয়, ইভটিজিং করা হয়। যারা এসব করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবীরের সঞ্চালনায় সভায় সিএমপি, র্যাব, জেলা পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিওটিএ, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জন অফিস, জনপ্রতিনিধি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতাসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post