বিল্লাল হোসেনঃ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ১১নং রাজামেহার ইউনিয়ন এর ০৬ নং ওয়ার্ডের নজরুল ইসলাম মেম্বারের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের সড়ক পূর্ণ নির্মান কর্মসূচিতে শ্রমিক ২০ জন দিয়ে মাটি কাটার নিয়ম থাকলেও সেখানে কাজ করায় মাত্র৫-৮জন শ্রমিক দিয়ে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজামেহার ০৬ নং ওয়ার্ডের পাঠান বাড়ীর মূল রাস্তায় গত ২০ ও ২১মে তারিখে মাত্র ৮ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে সড়ক পূর্ণ নির্মান করতেছে। মাটি কাটার শ্রমিকদের বক্তব্য ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ২০ জনের কাজ করার নিয়ম থাকলে নজরুল ইসলাম মেম্বার আমাদের কে দিয়ে কখনো ৫ জন ও কখনো ৮ জন দিয়ে কাজ করায়, এবং শ্রমিকদের দৈনিক ২০০ টাকা হারে পারিশ্রমিক বেতন দিচ্ছেন এবং কাজ করাচ্ছেন দৈনিক সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত। তাছাড়া কোনদিন আবার রোজ হিসেবে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সচিব মোঃ আনোয়ার সাহেবের মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন নজরুল মেম্বার আগে মীর বাড়ীর সড়কে কিছু কাজ করেছে আর কিছু কাজ বাকি থাকায় তার বিল আটকে রাখা হয়েছে।সম্পূর্ন কাজ শেষ করলে তাকে বিল দেওয়া হবে।
সড়কের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহের সময় ঘটনাস্থলে পাঠান বাড়ীর অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উপরে উল্লেখিত তথ্য ফেইসবুকে ভাইরাল হলে ঢাকা মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক, এ আর আহমেদ হোসাইন ২২-০৫-২০১৯ ইং তারিখ প্রায় ২:৩০ মিনিটে নজরুল মেম্বার ওই নম্বরে কল করলে ০১৮৫২২০১২৯৬ বলেন- রাস্তা মেরামত নির্মাণ ৩০ দিনের কাজটা ৪০ দিনে করাই তার কারন ইউনিয়ন পরিষদ বিভাগে সরকারী বিধিমোতাবেক ১ জন শ্রমিককে দৈনিক ১৭৫ টাকা করে রোজ দেন, যার কারনে কোনো শ্রমিক কাজে আসতে চায় না, আমরা রাস্তা মেরামত সফল করার লক্ষ্যে দৈনিক ৩০০ টাকা রোজ করে শ্রমিকদের খাটাই।জানতে চাওয়া হলে ৩০০ টাকা পূর্ন করতে ১২৫ টাকা কে বা কারা দেয়।তিনি বলেন -চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আনি এবং আমরা নিজেরা নগদ টাকা দিয়ে কাজটি করাই। যার কারনে ২০ জন শ্রমিক থেকে ১০ জন শ্রমিক দিয়ে ৪০ দিনের মধ্যে রাস্তা নির্মাণের চিন্তা করি। ওই দিকে ১০ জন শ্রমিকের শ্রমের মূল্য থেকে ১ জন ওয়ার্ড সভাপতি, ১জন সেক্রেটারি ও ১ জন চৌকিদারকে টাকার অংশ দিতে হয়। বাকী ৭ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাই।সাধারণ জনগনের কাজে প্রশ্নবিদ্ধ শ্রমিকের শ্রমের মূল্য কেন ওয়ার্ড সভাপতি নিবেন? অন্য দিকে মেম্বার নজরুল ইসলামের নিকট থেকে কেউ বকেয়া বিল পাবে বলে জানতে চাওয়া হলে তিনি সম্পৃর্ন অস্বীকার করেন।