জনতার কলামঃসালাতুল মাগরিব
কবিঃ রফিকুল ইসলাম (খোকন)
ইয়াকূব নবী বাস করিতেন কেনানে
দুই বিবি,বারো সন্তান ছিলো নবীর জীবনে।
বড় বিবির দশ ছেলে-ছিলোনা তারা ভালোরে
ইউসুফকে ভাবতো শত্রু-বড় ভাই দশজনে।
খেলার ছলে নিয়ে যায়-দশ ভাই ইউসুফকে
হাত,পা,বেঁধে ইউসুফকে-ফেলে দেয় কূয়াতে।
বাবার কাছে গিয়ে বলে,বাঘে খাইছে ইউসুফকে
ইউসুফের রক্তমাখা জামা-তুলে দেয় নবীর হাতে।
ইয়াকূব নবী বুঝতে পারে গভীর এক ষড়যন্ত্র
অশ্রুসিক্ত নয়ন নিয়ে নবী গিয়ে অন্ধরমহলে
দু,হাত তুলে প্রার্থনা করে নবী,আল্লাহর দরবারে।
আল্লাহর সাহায্য নেমে আসে শিশু ইউসুফের জীবনে।
ওই পথে একদল বনিকের যাত্রা ব্যবসার উদ্দেশ্যে।
পিপাসাকৃত বনিকের দল ছাওয়ারী থামায় কূপ দেখে পানির জন্য কূপের কাছে যায়।
কূপের ভীতরে একটি শিশু তারা দেখতে পায়
শিশুটিকে উদ্ধার করে সঙ্গে নিয়ে মিশরেতে যায়।
দাস বিক্রি বাজারে বনিকেরা তুলে ইউসুফকে
আজিজে মিশর, জোলেখা নেয় ইউসুফকে ক্রয় করে।
দিনে দিনে বড় হতে লাগলো ইউসুফ
সুন্দর,সুদর্শন এক যুবক,কু-দৃষ্টি পরে জোলেখার।
জোলেখার মিথ্যাচারে যেতে হয় ইউসুফকে জেলখানায়।
মিশরের রাজা পরাপর তিন রাত একটি স্বপ্ন দেখতে পায়
স্বপ্নের ব্যখ্যা করতে সে দেশের ধর্ম যাযক অপারগতা জানায়।
তথ্যনিয়ে রাজা জানতে পারে জেলখানাতে বন্দি এক যুবক
সে পারে স্বপ্নের সঠিক ব্যখ্যা দিতে।
হাজির করা হয় ইউসুফকে রাজ দরবারে
স্বপ্নের সঠিক ব্যখ্যা করনিয় বলেদেয় রাজাকে
রাজা খুশিহয়ে ইউসুফকে বানায় খাদ্য মন্ত্রী
দুর্বিক্ষ কবল হতে পায় মিশর বাসি মুক্তি।
কেনানে চলছিলো তখনো দুর্ভিক্ষ
দশ ভাই আসে মিশরের রাজ দরবারে।
ইউসুফের সামনে দাড়িয়ে বলে দশ ভাই
আমরা ইয়াকূব নবীর সন্তান বসতি কেনানে।
আপনার কাছে এসেছি আমরা খাদ্য সাহায্য চাইতে।
ইউসুফ অশ্রুশিক্ত নয়নে-বলে বাবা কেমন আছে
আমি আপনাদের সেই ভাই ইউসুফ
যাকে হত্যা করতে হাত,পা,বেঁধে ফেলে দিয়েছেন কূয়াতে
ক্ষমা চেয়ে বলে দশভাই ইউসুফকে।
বাবা নেই ভালো-কাঁদে আজো তোমারই জন্য।
ঘোড়ায় চড়িয়া ইউসুফ ছোটে পিতার কাছে
পিতা তাহার দাড়িয়ে আছে পথপ্রানে চেয়ে।
বাবা বলে ডাক দেয় ইউসুফ,ইয়াকূব নবীকে
ইয়াকূব নবী বুঝতে পারে-আমার ইউসুফ এসেছে ফিরে।
বেয়াল্লিস বছর পরে,পেয়ে সন্তানকে নেয়নি জড়িয়ে বুকে
শুকরিয়া আদায় করতে নবী পরে যায় সেজদাতে।
এক নিয়তে তিন রাকাত নামাজ আদায় করে সেই ক্ষণে
সালাম ফিরাইয়া নবী-ইউসুফকে নেয় ঝড়িয়ে
আল্লাহতাআলার ওই নামাজের দিয়েছে গুরুত্ব।
মেরাজের রজনীতে ডাকিয়া তার হাবিবকে
ইয়াকূব নবীর তিন রাকাত নামাজ দিলেন মাগরিবে।
এরশাদ করে বলেন আল্লাহ তার হাবিবকে
আপনার উম্মত পড়ে যদি এই নামাজ জামাতে
ইয়াকূব,ইউসুফ,নবীর পূর্ণ ছোয়াব দিব আপনার উম্মতকে।
মাগরিবের নামাজ পড়বো উম্মতে মোহাম্মদী
ইয়াকূব,ইউসুফ,নবীর পূর্ণ ছোয়াব নিয়ে হবো জান্নাতি।