বিশেষ প্রতিনিধিঃকক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরাদার করাসহ যে কোনোভাবে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য আসা বন্ধ করতে তৎপর থাকার পর
ইয়াবা গডফাদার ও তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যরা ইয়াবা আনার পথ পরিবর্তন করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উপায়ে কোনও না কোনও পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা এনে তা ককক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে পাচার করছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩০০ টাকা মূল্যের ১১ লাখ ২০ হাজার ২’ শত ৫১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় ৩’ শত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলার বিভিন্ন থানায় ১’ শত ৫৫টি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম,পি’র উপস্থিতিতে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ প্রত্যায় নিয়ে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যানে ।
মাদকের কবল থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এম,পি ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ সরাসরি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন “” চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে””।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মাদকবিরোধী অভিযান সফল করার লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন স্হানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদারদেরকে গ্রেফতার করাসহ তাদের আস্তানায় হানা দেয় ।
এবিষয়ে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নেওয়ার কারনে প্রতিদিন কোনও না কোনও সংস্থার সদস্যদের নিকট ধরা পড়ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। এরপরও ক কীভাবে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক দেশে প্রবেশ করছে তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন কৌশলে মাঠে নামানো হয়েছে। আমরা চাই যে কোনও উপায়ে ইয়াবা পাচার বন্ধ হোক। ইয়াবার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।
বিজিবি’র টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী বলেন, ইয়াবার চালান ঠেকাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন ইয়াবাবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে। একইসঙ্গে ইয়াবা প্রবেশ ঠেকাতে এলাকায় সামাজিকভাবে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে কাজ করছে বিজিবি সদস্যরা।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ইয়াবাসহ মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ইতিমধ্যে টেকনাফসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অনেক ইয়াবা গডফাদারদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আস্তানা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
বিপুল পরিমান মরন নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট পপ দেশীয় অস্ত্র।বিশেষ করে ইয়াবা কারবারিরা নিরাপদ রুট হিসেবে সাগর পথ বেছে নেওয়ায় সেখানে টহল জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করছে র্যাব।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন,মাদকবিরোধী অভিযানে সফল করতে আমরা বিরামহীনভাবে কাজ করছি ।