৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃকরোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ অসহায় পরিবারের জন্য নগদ ১২৫০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা কার্যক্রম বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদুল ফিতরের আগে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার নগদ ২৫০০ টাকা করে সহায়তা পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসাবে সরাসরি নগদ অর্থ বিতরণের উদ্বোধন করেন তিনি। এতে প্রত্যেক পরিবার এককালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবে। এছাড়াও স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোনো শক্তিধর দেশই এই করোনা ভাইরাসকে জয় করতে পারে নি। এই ভাইরাসের প্রভাবে যখন বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে, বিশ্ব যখন স্থবির তখন প্রকৃতি পুনঃ উজ্জীবিত হয়ে উঠছে নিজের মতো করে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায়দের সহযোগিতায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আবারও আহ্বান জানান, নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এবং ধান কাটায় অংশ নিয়ে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে। সব ধরনের পতিত জমিতে যে কোনও ধরনের ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রায় ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় ২ কোটি সদস্য আগে থেকেই রয়েছে ভিজিএফ কার্ডের আওতায়। তারা এখন এই কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন। এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা। এর বাইরে যারা দৈননন্দিন কাজ করে খেতো, তাদের কোনো কাজ নেই, তাদের আয়ের পথ বন্ধ। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা কিছু অর্থের ব্যবস্থা করেছি।
সেই লক্ষ্যেই ৫০ লাখ মানুষকে আমরা অর্থ সহায়তা দিবো। যারা কিছুই পাচ্ছেন না, যারা সব রকম ভাতা ও সুবিধার বাইরে, তাদের কথা চিন্তা করে আমরা ১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি।
একদিকে মুজিববর্ষ, অন্যদিকে রমজান মাস, সামনে ঈদ আসছে, সে কথা চিন্তা করেই আমরা তাদের মোবাই ফোনে এই অর্থ দিয়ে দিবো।এ প্রসঙ্গে বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ নগদ সহায়তা পাবেন এবং পুরো তহবিল ১৪ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, এখন সরকারের ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে এমন ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারের মধ্যে দরিদ্রতম ৫০ লাখ পরিবারের সমন্বয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার সরকারের অর্থ বিভাগ ৫০ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তার জন্য ১২শ’ ৫৭ কোটি টাকার তহবিল ছাড় করে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য বাজেট-১ শাখা থেকে ৬২৭ কোটি টাকা এবং বাজেট-৩ শাখা থেকে ৬৩০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এই বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
Discussion about this post