নওগাঁ ব্যুরোঃট্রাফিক অফিসের সামনেই একটি সাইন বোর্ডে যাতে বড় বড় করে লিখা আছে সদর ট্রাফ্রিক অফিস নওগাঁ। সাইন বোর্ডের ঠিক উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন তিনটি শব্দ। প্রথম থেকে,প্রথম শব্দ- শৃংখলা, ২য় শব্দ- নিরাপত্তা এবং ৩য় শব্দ- প্রগতি।এই শব্দ গুলির যথাযত রুপ বাস্তবায়ন করা ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব।মোটরযান আইন অনুযায়ী, রাস্তায় গাড়ি আইন মেনে চলছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখার দায়িত্ব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। আইনে ট্রাফিক পুলিশকে লাইসেন্সসহ কাগজপত্র যাচাই এবং সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এবং জরিমানা করার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিনেও নওগাঁ সদর ট্রাফিক বিভাগকে দায়িত্ব পালনে ব্যাপক সক্রিয় দেখা গেছে।শহরে কোন যানবাহন চলাচলে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা যেন না হয়।ঈদের দিন খুশিতে পরিবার সাথে নিজের মটর সাইকেল নিয়ে আত্মীয় বাড়ীতে ঘুরতে আসা সাধারণ জনগনের গাড়ীর বৈধ্য কাগজপত্র যাচাই করেছেন এবং আইন অনুযায়ী কাগজপত্র কাছে না রাখা, রেজিট্রেশন, বিহীন গাড়ী,ইনসুরেন্স, হেলমেট সহ বিভিন্ন কারনে মামলা ও ২ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত জরিমানার অর্থ আদায় করা হয় প্রায় শতাধিক ঊর্ধ্বে মটর সাইকেল মালিক- চালকের কাছে বলে জানাযায়! ঈদের দিন বিকেল থেকে সন্ধারাত পর্যন্ত অনেককেই নওগাঁ সদর ট্রাফিক অফিসের সামনে বসে ঈদের আনন্দ মাটি করতে দেখা যায় এবং পর দিন বিকেলে একই চিত্র দেখা যায়! যে কারণ জনদুভোর্গে সৃষ্টি হয়। উল্লেখ’ আপনার ঈদের খুশি মুখ্য বিষয় নয়, এই সকল আইনি ব্যবস্থা- শৃংখলা, নিরাপত্তা, প্রগতির স্বার্থেই। কারন আইন সবার জন্য সমান, আইনের ঊর্ধ্বে কেহই নয়। তবে যেহেতু ঈদ একটি ধর্মির অনুষ্ঠান ও সকলের জন্য খুশির দিন আর সচেতন মহলের মন্তব্য এমন যে, আইন প্রয়োগে যেন জন দুভোর্গ সৃষ্টি না হয়। আর আইন জননিরাপত্তার জন্য, জনদুর্ভোগের জন্য নয়। এবং গাড়ী আটকের পর ট্রাফিক কার্যালয়ে যাওয়া জনগনের সাথে অবশ্যই মর্যাদা সম্পন্য আচরন করতে হবে। কারণ গাড়ী গুলো তারা নগদ অর্থ পরিশোধ করেই কিনেছেন।এবং বার বার আইজি মহোদয় এই কথায় বলছেন জনগনের সাথে ভাল আচরণ করুন। উল্লেখ” ভুক্তভুগিদের মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করেন জরিমানার টাকার রশিদ চাইলে তারা দাপুটে পুলিশি সভ্যতা বিপরীত আচেরনের মুখোমুখি হোন এবং জরিমানার রশিদ ছাড়ায় জরিমানা দিয়ে গাড়ী ছাডিয়ে নিতে বাধ্য হোন! তবে প্রশ্ন রশিদ ছাড়া জরিমানার অর্থ আদায় কি আইন পরিপন্থী নয়?