ওমানে সাইকেলে করে বাসায় ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৪ প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধার ।রবিরবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানী মাস্কাট থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আদম জেলার জুবার এলাকায় সালালাহ মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা শনজৌরপুর গ্রামের সহিদ আলীর ছেলে সবুর আলী (৩৮) এবং একই উপজেলার হাজিপুরের বিলারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মুসলিম আলীর ছেলে মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (৩৯)।
খবর পেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গেছেন। দুর্ঘটনার কারন, মরদেহ দেশে পাঠানো প্রক্রিয়া এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।বাংলাদেশে দূতাবাসের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ঔ মহাসড়ক দিয়ে কর্মস্থল থেকে একযোগে সাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরিরত ৭/৮ জনের বাংলাদেশি কর্মী দল। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে পিছন থেকে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ৪ জন মৃত্যু হয়।
পরে রয়েল ওমান পুলিশ এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায় । গুরুতর আহত একজন নিযুয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন । তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে বলে জানা গেছে।দুর্ঘটনার সঠিক কারন এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক খবরে বলা হচ্ছে, মহাসড়কে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশিরা কর্মিরা ওমানী গাড়ি চালকের হর্ন শুনতে পারেন নি এবং নিয়ন্ত্রণ হারান গাড়িচালক।
একটি সূত্র জানিয়েছে, কর্মস্থলে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে কানে হেডফোন লাগিয়ে মোবাইল থেকে গান শুনতে শুনতে তারা ফিরছিলেন। তাই গাড়ির হর্ন শুনতে পারেন নি।পকেটে রেসিডেন্ট বার্ড না থাকায় বাকি দুজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস কর্মকর্তরা।
পরিচয় পাওয়া দুজনের মরদেহ বর্তমানে নিযুয়া হাসপাতাল এবং বাকী দুজনের মরদেহ আদম হাসপাতালের মর্গে আছে।চার প্রবাসীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুের খবরে ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।