চট্টগ্রাম নগরীর আলোচিত-সমালোচিত ওসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন তিনি। সিএমপির বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন শেষে, সর্বশেষ সিএমপির ডবলমুরিং থানা থেকে বদলি হয়ে খুলনা রেঞ্জ পুলিশে, ও পরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মোহাম্মদ মহসীন ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওসি মোহাম্মদ মহসীনের নিজের নামে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জে ১৫টি প্লট, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থাবর-অস্থাবরসহ প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে জায়গা, ব্যবসা, মৎস্য খামার, নির্মাণাধীন তিনতলা বাড়িসহ আরও দুই কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, ওসি মহসীনের আয়বহির্ভূত অবৈধ অর্জন ৭৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামেও ৭৩ লাখ টাকা রয়েছে- এসব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সঠিকভাবে সুষ্ঠু তদন্ত শেষে যদি ওসি মহসীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় তবে, অবশ্যই তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হচ্ছে, তা সবগুলোই মিথ্যা । অভিযোগ একজন মানুষের বিরুদ্ধে থাকতেই পারে, তবে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না সেই ব্যক্তি দোষী।’
চট্টগ্রামে দীর্ঘ ১৬ বছর পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ও থানায় দায়িত্ব পালনের পর সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ মহসীন
Discussion about this post