বিশেষ প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে দক্ষিণ পড়ার একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের শরীরের করোনা ভাইরাসের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। সংবাদটি নিশ্চিত হওয়ার পর আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গত ১৩ মে বুধবার ভোর রাত ১২ টা এর পর ৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পান, উপজেলা কর্মকর্তার মোঃ রোকুনুজ্জামান খান।
তিনি এই পরিবারের ৪ জনের করোনা আক্রান্তদের বিষয়টি আইইডিসিআর এর রিপোর্ট ভিত্তিতে নিশ্চিত করেন। ডাঃ রোকন জানান, এই পরিবারের অপর সদস্যের পজিটিভ রিপোর্ট আগেই পাওয়া গিয়েছিল ঢাকায়। যেহেতু ঐ পুরুষ রোগীরটি ঢাকাতেই চাকুরীরত ছিল তাই আমাদের নাগরপুর উপজেলার আক্রান্ত রোগীদের হিসেবের বাইরে তিনি। তবে পরিবারের বাকি এই সদস্যরা নাগরপুরে থাকতো। এই ৪ জনের নমুনা গত ১১ তারিখে আমাদের এখান থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল।
এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫৫ বছর বয়সী ১ জন পুরুষ ও ৫০ ও ২৬ বছর বয়সী ২ জন নারী এবং ১ জন ৮ মাস বয়সী মেয়ে শিশু রয়েছে। এই শিশু সহ তার বাবা, মা, দাদা এবং দাদি মোট ৫ জন সদস্যই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে।
তবে বর্তমানে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বাটরা দক্ষিণ পাড়ায় শিশুটির বাবা বাদে বাকি ৪ জন অবস্থান করছে।
এ নিয়ে উপজেলার করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাড়ালো ৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৪ জন, আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ জন রোগী।
এ বিষয়ে সহবতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মোঃ তোফায়েল আহাম্মেদ মোল্লা বলেন, আমরা বার বার বলছি সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিকটতম ও দূরের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কিছু দিনের জন্যে যোগাযোগ বন্ধ রাখুন। আসুন সবাই মিলে করোনা মোকাবিলায় আংশ গ্রহন করি। আপনি বাঁচুন ও অন্যকে বাঁচার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ এই মহামারী হতে সকলকে হেফাজত করুন, আমিন।
এ বিষয়ে উপজেলা প.প কর্মকর্তা মোঃ রোকুনুজ্জামান খান বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনাগুলো নাগরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পাঠানো হয়েছিল।
সকলের উদ্দেশ্য ডাঃ রোকন বলেন, সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। এর কোন বিকল্প নেই। তাই সবাই ঘরে থাকুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি। আসুন সবাই সরকারের নির্দেশনা মেনে করোনা মোকাবিলা করি।
Discussion about this post