জনতার কলামঃএস এম শিমুল রানা-কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান-মেম্বারদের প্রতি আস্থা কমেগেছে জনগণের। বর্তমান ভয়াবহ করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের বরাদ্দ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সঠিক ভাবে বন্টনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন দেশবাসী।
অভিযোগ রয়েছে, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিক ও ন্যায়ভাবে বিতরণ করে না। কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা এসব বরাদ্দ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেয়। বিষয়টি বর্তমানে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। এই অনিয়মকে উপকার ভোগীরা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিয়েছে ।
বর্তমান ভয়াবহ করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন অনিয়ম চায় না ভুক্তভোগীরা। তারা চায় প্রধানমন্ত্রী নিন্ম আয় ও গরীব মানুষের জন্য যে প্রণোদনা বরাদ্দ দিয়েছেন তা যেন যথাযথভাবে উপকারভোগীরা পায়। সে জন্য তারা কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান-মেম্বার নয়, সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ চায়। কেননা সেনা ও নৌবাহিনী বিতর্কমুক্ত মানবদরদী সরকারি বাহিনী। দেশের যেকোনে জরুরী মুহুর্তে তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়।
বর্তমানেও করোনা রোধে মাঠে নিরলসভাবে কাজ যাচ্ছে এই দুই বাহিনী। কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং তিন উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রেক্ষাপটে তাদের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বরাদ্দ তাদের মাধ্যমে বিতরণ করা যাবে। এই দুই বাহিনী বিতরণ করলে বরাদ্দ সঠিকভাবে উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছাবে।কিন্তু কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান-মেম্বার দিলে তার ‘নয়ছয়’ হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দগুলো বিতরণের জন্য দিলে তার অর্ধেক প্রকৃত উপকার ভোগীরা পাবেন না, কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নিজেরা অর্ধেক লোপাট করে ফেলবে। আবার যা বিতরণ করবে তাতেও দেখা যাবে তাদের স্বচ্ছল আত্মীয় ও অনুসারীদের ঘরে যাবে অসহায়দের জন্য দেয়া জরুরী বরাদ্দ ।
Discussion about this post