মোঃ কামাল হোসেনঃকাপ্তাই উপজেলার কেপিএম কলাবাগানস্থ এলাকায় সন্ত্রাসিরা তাসিক হোসেন সিয়াম প্রকাশ বাবু(২০) নামক এক যুবককে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপুর্যোপরি ছুরিকাঘাত করে মারাত্বকভাবে আহত করেছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭.৩০ ঘঠিকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসিরা তাকে ছুরিকাঘাতে মারাত্বক জখম করে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাড়পত্র প্রদান করেন। বর্তমানে আহত তাসিক হোসেন সিয়ামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ত্রাসি হামলায় আহত তাসিক হোসেন সিয়াম এর মা হালিমা বেগম ঘঠনার বিবরণ সহকারে কাপ্তাই থানায় ঘঠনার পরদিন ১০ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দাখিল করলে তৎক্ষনাত ঘঠনার সাথে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসিদের ৩ জনকে কাপ্তাই থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছেন বলে জানান। গ্রেফতার হওয়া যুবকরা হচ্ছে সাইদুর রহমান শুভ(২০), সাইফুল ইসলাম মোহন(১৯), সবুজ(২৫)। আহত তাসিক হোসেন সিয়ামের মা অভিযোগকারী হালিমা বেগম ও পিতা কেপিএম এর সাবেক শ্রমিক নেতা মোঃ মুছা এ প্রসঙ্গে বলেন, অভিযোগ করার সাথে সাথে কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দীন যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের চাপের মুখে তা আর সম্ভব হয়নি। এমনকি গ্রেফতার হওয়া আসামীদেরকেও এক পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তারা আরও বলেন আমরা আমাদের মান সম্মান ও জীবন রক্ষা করে কোন প্রকারে বাড়ি ফিরে যাই। বর্তমানে ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করি। আমরা এখনো ভয়ভীতিকর পরিস্থিতে আছি। তাসিক হোসেন সিয়াম এর উপর সন্ত্রাসি হামলার ব্যাপারে কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ নাসির উদ্দীন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাসিক হোসেন সিয়ামকে ছুরিকাঘাতে হামলার ঘঠনাটি তদন্তাধীন এবং এটি মিমাংসাযোগ্য।
জানাযায় আহত তাসিক হোসেন সিয়াম প্রকাশ বাবু্ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগরের মাইজপাড়া গ্রামের মোঃ মুছার সন্তান। মোঃ মুছা কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনাস্থ কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) এর এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ছিলেন।