জনতার কলামঃমোঃশহিদুল, কি অপরাধ ছিল আমার
জীবনের কথা ভাবতে গেলে অনেক কষ্ট লাগে।
সংবাদ আমার নেশা সংবাদ আমার পেশা এভাবে হাটি হাটি পা পা করে অনেক দুঃখ কষ্ট পেরিয়ে ১৯৯৮/৯৯ ইং সালে পা রখে ছিলাম একটি মহৎ পেশায় যার নাম সাংবাদিকতা। তখন নিজেকে পরিচিত করতে দিন রাত ছুটা ছুটিও করতাম। এই পেশায় যখন জড়িয়ে পড়লাম তখন নিজেকে অনেক সন্মানি বলে ভাবতাম মানুষ ও সন্মানের সাথে আমাকে দেখতো সমাজে কোথাও কিছু ঘটলে মানুষ ও আমার স্বরণ করতো আমিও সেখানে যেতাম সেখানে যদি পুলিশ প্রশানও যেত তিনিরাও আমাকে নিয়ে ভাবতো। তখন সংবাদ কর্মির সংখ্যাও কম ছিল। রাজনৈতিক নেতারা কোথাও কোন প্র-গ্রাম করলে আমাকে আগেই দাওয়াত দিতেন সাথে নিয়েও যেতেন তাদের সংবাদ পরদিন পত্রিকায় প্রকাশ হলে পত্রিকা নিয়ে মানুষ কাড়াকাড়ি করত। আমার লেখার পত্রিকাটি এই জেলা থেকে বের হতো এই জেলার মানুষের রাত পোহালেই সংবাদটি চোখে পড়তো তাই কোন ব্যক্তির পক্ষে সংবাদ প্রকাশ হলেই বিরোধী ব্যক্তিরা আমার উপর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতো পাশা পাশি ক্ষতি করার পায়তারা করতো। ২০১২ ইং সালের ১৭ জানুয়ারী মাসে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় পরদিন আমার লেখা দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয় তাতে এক রাজনৈতিক প্রধানের বিপক্ষে দুটি শব্দের সামান্য ক্রটির কারনে তাহার পেটুয়া বাহিনী দ্বারা ১৯ জানুয়ারী ২০১২ ইং সালে সন্ধায় মহেশপুর থানা গেটের সামনে থেকে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ডাক বাংলার পিছনে অন্যায় ভাবে বেদম মারপিট ও বুড জুতা দিয়ে পেটের উপর পা রেখে চটকায়। তখন ওখানে চা বাজার ছিল না। আমি মারা গিয়েছি এমনটা ভেবে ওরা নদীতে ফেলতে যাচ্ছিল এমতাস্থায় চারিদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। ঐ সময় পুলিশ এবং পাবলিক মহেশপুর কলেজ ব্রীজের মাঝখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে নবচিত্র পত্রিকার সম্পাদক নিজেই একটি মাইক্রো গাড়ি নিয়ে এসে সাথে সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আমাকে ভর্তি করেন সেখানে ৫ ঘন্টা ট্রিটমেন্ট দেওয়ার পর আমার জ্ঞান ফেরে। ঝিনাইদহ ও যশোর পরিক্ষা নিরিক্ষা করে ১৪ দিন চিকিৎসার পর ওখানেও আমাকে মেরে ফেলার এক ষড়যন্ত্র করে। আল্লাহর পাকের রহমতে আমি বেঁচে গেলে ডাক্তার গন ফরিদপুর মেডিকেলে রিফার্ড করেন মোট ৩২ দিন চিকিৎসা শেষে আমি বাড়ি ফিরি এর মধ্যে ২৬ দিন বেঁচে ছিলাম শুধু মাত্র জুস খেয়ে। ৩২ দিনের চিকিৎসার ব্যয় হয় ৮০ হাজার টাকা। ঐ সময় ৬ জনকে আসামী করে মামলাও করেছিলাম কিন্তু খমতার বলে আমার মামলা দেখতেও যেতে পারিনি। জীবনের এই কাহিনী মনে পড়লে মনে হয় কি অপরাধ ছিল আমার। আমি পারিনি সেই আগের মতো চলতে আমি পারিনি পেট পুরে দুটো খেতে। চলতে যেমন কষ্ট হয় পেট পুরে খেলেও তেমনি কষ্ট হয়। তার পরও আমার এই নেশা এবং পেশা আমি ছাড়তে পারি না। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন শেষ জীবন টুকু সকলের পাশে কাটাতে পারি। হে আল্লাহ আপনি ওদের বিচার করবেন।(মোঃশহিদুল ফেসবুক ওয়াল)
Discussion about this post