জনতার কলাম, মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম ঃ কেন মুজিবুর এর স্থলে মুজিবর হলো, প্রশ্ন অনেক পরীক্ষার্থীর । বিভাগীয় নির্বাচনি বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক জেলা প্রশাসন, নওর্গা অধীন সারাধরণ প্রশাসনের আওতাভুক্ত সার্টিফিকেট পেশকার পদের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা গত ৯ মার্চ/২০১৮ইং শুক্রবার জেলার কয়েকটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলে তন্মধ্যে নওগাঁ জিলা স্কুল কেন্দ্রে মোট ৫৮৪ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা দেয়া হয়। পরীক্ষাটি সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে ১২ টা নাগাত শেষ হয়। প্রশ্নপত্রে মোট পূর্ণমান ছিল ৭০ নম্বর। পরীক্ষাটি মূলত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নওগাঁ (রাজস্ব শাখা) এর ছিল। প্রশ্নপত্রের ৩ নং ক্রমিকের প্রশ্নটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কত সালের কত তারিখে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি লাভ করেন ছিল। এই প্রশ্নের মুজিবরকে নিয়ে নওগাঁ জিলা স্কুলের ৩য় তলার পরীক্ষার হলে ৩০৪ নং কক্ষের ১২২ রোলের পরীক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম দায়িত্বরত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, এটা প্রিন্ট-এর ভূল হতে পারে, আমরা তা জানিনা। আমরা এই প্রশ্নের কিছুই না। এতে পরীক্ষা শেষে সকল পরীক্ষর্থীর মুখে ‘মুজিবর’ই কথা শুনা যায় । প্রশ্নটিতে বঙ্গ বানানটিও ধরাজালে পড়ে। অত:পর পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র সঙ্গে আনতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেগুলোও জমা নিয়ে নেয়। অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র না দিলে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, এটা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ। এতে নওগাঁ সদর জেলার পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, যিনি আমাদের বাংলার জনক যার মাধ্যমে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি আর তারই নাম লিখতে কেন এই ভূল? যার সাহসী কন্যা সন্তান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল দু:খ কষ্ট দুরিকরণের লক্ষে এবং জামাত-শিবির, জঙ্গিবাদ, রাজাকার এবং মৌলবাদদের বিরুদ্ধে রুখে দারিয়েছেন। আর তারই পিতার কেন এই ভূল জানতে চেয়েছেন তিনি। নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানায়, আমরা এটা মানতে পারিনা কেন মুজিবুর এর স্থলে মুজিবর হলো। আমরা পরীক্ষার্থীগণ ভূল বের করতে পারলে যারা প্রশ্ন তৈরি করেন তাদের চোখে এই ভূল ধরা পড়লো না কেন? যাকে নিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছেন, যিনি না হলে আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেতেম না। আর উনার নাম লিখতে কেনই বা ভূল। এর সঠিক তথ্যদি উৎঘাটন করতে আমরা সচেতন পরীক্ষার্থী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
Discussion about this post